খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮ কার্তিক, ১৪৩১

কুমিল্লার ওসি ফিরোজ হোসেনের পিতা সম্পাদক; সাংবাদিক কন্যার অপহরণ মামলা তদন্তে গড়িমশি! তিন অভিযুক্তকে অব্যহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:৫২ পিএম
কুমিল্লার ওসি ফিরোজ হোসেনের পিতা সম্পাদক; সাংবাদিক কন্যার অপহরণ মামলা তদন্তে গড়িমশি! তিন অভিযুক্তকে অব্যহতি

কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানা থেকে ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে কুমিল্লা সদর কোতয়ালী মডেল থানায় যোগদানের পর থেকেই কুমিল্লার মানুষ এর মুখে মুখে একটি বাক্য না জানি আবার কার মায়ের বুক খালি হয়! কিন্তু কুমিল্লা বাসীর ধারণা পুরোপুরি মিথ্যা নাও হতে পারে। ওসি ফিরোজ হোসেন তোয়াক্কা করেন না তেমন কাউকেই; এমনকি মিডিয়াতো তার হাতের খেলার পুতল মাত্র। কারণ ওসি ফিরোজ হোসেন-এর পিতা একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাই তার কাছে সাংবাদিকদের কোন মূল্যায়ন নেই বললেই চলে। যখন তখন যা-তা তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করেন তিনি। ব্যবহারের পরিমার্জন এমন যে- আপনি কিসের সাংবাদিক, কতদিন সাংবাদিকতা করেন, আপনাকে তো এর আগে কখনো থানায় দেখিনি! এতে বোঝা যায় যে, প্রতিনিয়ত যারা মূলত পা-চাটুকার দালাল অর্থাৎ তৈলমর্দন করেন ও লেনদেন করতে যান; তাদেরকে উনি খুবই ভালভাবেই চিনেন, বাকিদেরকে ওনার চেনার প্রয়োজন হয় না হয়তো। তিনি এও বলেন, আপনি আমাকে কতটুকু চিনেন! আপনি জানেনই বা কি আমার সম্পর্কে! আমি ফিরোজ হোসেন, আমাকে প্রথমত ভাল করে চিনেন তারপরে থানায় আসেন। আমার বাবা একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাহলেতো উত্তর মিলেই গেল, ওসি ফিরোজ হোসেন উক্ত কারণেই সাংবাদিকদের সঠিক সম্মান-মর্যাদা দিতে জানেন না, কেননা হয়তো তার বাবা তাকে সে শিক্ষাটাই দেননি। এমনই অসম্মানজনক আচরণে বিরক্ত কুমিল্লার বহু সাংবাদিকবৃন্দ! ইতিমধ্যে তিনি কুমিল্লা জেলা বরুড়া থানা ওসি থাকা অবস্থাতেও মিডিয়া পাড়ায় বিতর্কিত হোন বিভিন্ন গণমাধ্যমে, এক সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক সাথে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে অশুভ আচরণের কারনে।

সাংবাদিকদের পরিবারের মামলা-মোকদ্দমার বিষয় গেলে তাদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করাই যেন ওসি ফিরোজ হোসেনের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে; এমনকি মামলা নিতেও গড়িমসি করেন তিনি। গেল বছরের ২৬শে নভেম্বর এক সাংবাদিক কন্যাকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা নির্যাতন করে পূর্ববর্তী স্ট্যাম্পে ও কাজীর বালাম বইয়ে সই নিয়ে বিবাহের কোর্ট অ্যাফিট-ডেফিট তৈরি করেন।

তখন নির্যাতিত তরুণীকে নিয়ে অসুস্থ সাংবাদিক বাবা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে উক্ত বিষয় মামলা করতে পুলিশ কেস সার্টিফিকেট নিয়ে সাংবাদিক বাবা। মান-সম্মানের ভয়ে চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও অপহরণকারীদের ব্ল্যাকমেইল ও হুমকির স্বীকার হয়ে ঘটনার দুই দিন পর ২৮/১১/২০২৩ইং তারিখে সিদ্ধান্ত নিয়ে তরুণীর বাবা আরও কয়েকজন সাংবাদিকদের নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করতে যায়। উক্ত বিষয় কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ অধিক সদস্য ও ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দসহ প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক সাক্ষাৎ ও মুঠোফোনে কথা বললেও তিনি মামলা নিতে গড়িমসি করে কেবলই মাত্র অভিযোগ গ্রহণ করেন ওসি ফিরোজ হোসেন। উক্ত অভিযোগের তদন্ত করার জন্যে এসআই বিশ্বনাথ জিৎ-কে দায়িত্ব দেন তিনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বনাথ জিৎ উক্ত অভিযোগ-এর ভিত্তিতে আসামী পক্ষকে থানায় ডেকে অপহৃত মেয়ের পরিবারের সাথে রফাদফা করার জন্যে পরামর্শ দেন বলে আসামীরা মেয়ের পরিবারকে জানান। আসামীদের থানায় ডেকে ও বাড়িতে গিয়েও কোন প্রকারের তথ্যই সংগ্রহ করতে পারেননি বলে একাধিক অজুহাত দেখিয়ে মেয়ের বাবাকে বলেন প্রমাণ ছাড়া কিভাবে মামলা দায়ের করবো আর কিভাবেই বা আসামীদের গ্রেফতার করবো! এমতাবস্থায় মেয়ের বাবাকে বলেন, আসামীপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কোন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করা যায় কি না দেখুন! তৎক্ষণাৎ মেয়ের বাবার নিকট আসামীপক্ষের লোকজন রফা-দফা করতে চাইলে পূর্ববর্তী স্ট্যাম্পে ও কাজীর বালাম বইয়ে সই নিয়ে বিবাহের কোর্ট অ্যাফিট-ডেফিট তৈরির বিষয়ে মুঠোফোনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন যা মেয়ের বাবা রেকর্ড করে রাখেন এবং পরবর্তীতে স্বীকারোক্তি মূলক কল রেকর্ডটি নিয়ে এসআই বিশ্বনাথ জিৎ’কে দিলে; তিনি আগের মতোই মামলা নিতে গড়িমসি করেন। এভাবে অভিযোগের দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এসআই মামলা না নেওয়াতে এবং অন্য দিকে আসামী পক্ষ রফাদফার চেষ্টায় ধৈর্য্য হারা হয়ে অপহৃত ঐ তরুণী গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা তখন দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনর্চাজ, দেশপত্র পত্রিকার সিটি সম্পাদক, দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার ডেস্ক ইনর্চাজ ও ঢাকা প্রেসক্লাব-এর কার্যনির্বাহী সদস্য জুয়েল খন্দকারকে জানালে, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত অপহৃত মেয়েকে ন্যায়-বিচার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আশ্বস্ত করেন এবং আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকতে স্বান্ত্বনা দেন।

পরে থানায় গিয়ে ওসি ফিরোজ হোসেন-এর সাথে মামলা নেয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে, এক পর্যায়ে সিনিয়র সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার বলেন, আপনি মামলা নিবেন কি না বলেন? থানা-পুলিশ মামলা না নিলে আমরা আদালতে যাবো, তখন ওসি ফিরোজ হোসেন সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন- আপনি কি এমন সাংবাদিক বনে গেছেন? আপনাকেতো এর আগে কখন থানায় দেখিনি, আপনার বাসা কোথায়? আমার বাবাও বড় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এইসব বলে লাভ নেই, আমি প্রায় ১৬ বছর কুমিল্লাতে, আনাচে-কানাচের সকল সংবাদ আমার কানে আছে। আর তাছাড়া এখানকার সকলকেই আমি চিনি এবং জানি। তখন বিশ্বনাথ জিৎ-কে ডেকে বলেন মামলাটা নিয়ে নিতে বললেও আরও ৭ দিন অতিবাহিত করে ০২/০১/২০২৪ইং তারিখে মামলাটি রুজু করেন। কিন্তু অপহৃত মেয়ের সাংবাদিক বাবা উকিলের সাথে বুঝে, মামলায় ৭ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়। কিন্তু আবারো ওসি দায়িত্ব দেওয়া ব্যক্তির কথা অনুযায়ী উক্ত মামলার ধারা বদলে দিয়ে তাদের মত করে ৩ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করেন। থানায় মামলা রুজু হওয়ার বিষয় আসামী পক্ষ কিভাবে জেনে বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হয়, তা এখনো আমাদের বোধগম্য হয় নি! আসামী পক্ষ হাইকোর্ট থেকে ৪১ দিনের জন্যে আগাম জামিন নিয়ে আসেন। অপহৃত মেয়েকে আদালতে নিয়ে ২২ ধারায় জবানবন্ধী নিয়ে কোর্ট ৩জন আসামীসহ মোট ৭ জনকে আসামী করেন। কিন্তু পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি, ইতিমধ্যে আসামীরা সকলেই জামিনে জামিনে চলে গেছেন। এইদিকে নাটকীয়ভাবে মেয়ের বাবাকে নিয়ে একের পর এক আসামীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছেন কিন্তু আসামীদের কোন ক্রমেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তাহলে পুলিশ অন্যান্য মামলার তথ্য ছাড়া আসামী কিভাবে গ্রেফতার করেন? সেটাও বোধহয় বোঝার উপায় নেই।

ওসি ফিরোজ হোসেন সাংবাদিক নেতা জুয়েল খন্দকার এর সাথে এমন অসৌজন্যমূলক আচরণের কথা জানতে চাইলে, সিনিয়র সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার বলেন- আমি এক মা হারা মেয়ে ও অসুস্থ সাংবাদিক বাবার সন্তানকে ন্যায়-বিচার পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কথা দিয়েছি। একটি মানুষকে বাঁচানোর স্বপ্ন ও আশা দিয়েছি, ওসি ফিরোজ হোসেনের সাথে তর্ক করে হয়তো বহুদূর যাওয়া যাবে কিন্তু অসহায় পরিবার কি আদৌ বিচার পাবে? তবে আমার জীবনের প্রথম এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৬ হাজার সাংবাদিকের সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি আমি, সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সাথে অন্যায়-অবিচার, বিপদে-আপদে সব সময়ে ঝাপিয়ে পড়ি। আর আমার জীবদ্দশায় পুলিশের নিকট কখনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুপারিশ আমি করি নি। যদিও আমার পরিবারেই রয়েছেন এসপি, ডিসি, ডিআইজিসহ একাধিক প্রশাসন কর্মকর্তা। অনেকেই চলে গেছেন অবসরে কিন্তু আমি কখনো কাউকেই ক্ষমতা দেখাতে যাই না, কেননা ক্ষমতার কখনো অপব্যবহার করতে চাইনি। আমাদের সাংবাদিক পরিবারের সদস্য ওসি ফিরোজ সাহেব, কেননা তার বাবাও ছিলেন একজন সাংবাদিক। তবুও সাংবাদিক কন্যা ন্যায় বিচারক পেলইবা কোথায় চার্জশিট থেকে ৭ জন আসামী থেকে ৩ জনের নাম বাদ-দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি ফিরোজ হোসেন বার বার কুমিল্লাতে বদলি হয়ে আসা নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ। ওসি ফিরোজ হোসেন, সুযোগ্য পিতা: পিতা: মোঃ জালাল উদ্দিন, মাতা: ফাতেমা পারভিন, পাবনা জেলার সুজানাগর থানার মানিকহাট ইউনিয়নের নিঃসন্দেহে গর্বিত সন্তান।

ওসি ফিরোজ হোসেন চাকরীতে এসআই পদে যোগদান করেন ২৩/০২/২০০৬ ইং তারিখে।
পরে টাঙ্গাইল জেলায় যোগদান করেন, ২২ দিন পরে সেখান থেকে ডিএমপিতে যোগদান করেন ১৫/০৩/২০১০ ইং তারিখ থেকে ২৬/১০/২০১০ ইং তারিখ পর্যন্ত।
সেখান থেকে শিল্প পুলিশে বদলি হয়ে যায়, ০৪/১১/২০১০ ইং থেকে ১৩/০২/২০১১ ইং পর্যন্ত।
ওখান থেকে সে কুমিল্লায় ১৩/০৩/২০১১ইং তারিখ থেকে ১৩/১০/২০১৫ইং তারিখ পর্যন্ত ছিলেন ডিবিতে।
কুমিল্লায় ডিবিতে থাকাকালীন এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে-উন্নতি হয়ে সে ডিএমপিতে যোগদান করেন ১৭/১০/২০১৫ ইং তারিখ থেকে ১৯/১২/২০১৬ ইং তারিখ পর্যন্ত। পরে উক্ত থানা থেকে আবারও তিনি কুমিল্লাতে বদলি হয়ে ১০/০১/২০১৭ইং তারিখ থেকে ২৪/০২/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ছিলেন হাইওয়ে থানার ওসি হিসেবে।
সেখান থেকে ১৯/০৩/২০২০ইং তারিখ থেকে ০৪/১১/২০২১ইং পর্যন্ত ছিলেন জোড়ালগঞ্জ। সেখান থেকে গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশে ছিলেন, ১৪/১১/২০২১ ইং তারিখে থেকে ১৩/০৮/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত।
সেখান থেকে বান্দরবন জেলায় বদলি হয়ে ৩০/০৮/২০২২ইং থেকে ০২/১০/২০২২ইং পর্যন্ত মাত্র এক মাস ছিলেন। পরে আবার আসেন কুমিল্লা ডিএসবিতে ০৪/১০/২০২৩ ইং তারিখে পরে ডিএসবিতে ৪ মাস থেকে ওখান থেকে পরে চলে যায় কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানায়।
বরুড়া থানা থেকে আবারও কুমিল্লা জেলা সদর কোতয়ালী থানায় ০৮/১২/২০২৩ ইং তারিখে এখনো পর্যন্ত কুমিল্লায় রয়েছেন।

ওসি ফিরোজ কুমিল্লায় আসার পরে আবারও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক, সে কুমিল্লায় ১৩/০৩/২০১১ইং তারিখ থেকে ১৩/১০/২০১৫ইং তারিখ পর্যন্ত যখন ডিবিতে ছিলেন তখন কুমিল্লার সন্ত্রাসী সুমন ওরফে জিরা সুমনসহ তার সঙ্গী আরও চারজনকে ক্রস ফায়ার দিয়ে হত্যা করেন যা কিনা কুমিল্লার মানুষের মুখে-মুখে শোনা যায়। জানা যায় যে, কুমিল্লায় জিরা সুমন সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত; সে ভারতীয় জিরার ব্যবসা করতেন তাই তার নাম হয়েছে জিরা সুমন। যদিও মাঝে-মধ্যে সে কসমেটিক্সসহ চিনির ব্যবসাসহ করতেন চাঁদাবাজীও। তবে জিরা সুমন রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ধর্নাঢ্য ব্যক্তিদের অর্থ ছিনিয়ে আনা ছিল সুমনের মূল কাজ। যদিও ছিনিয়ে আনা অর্থগুলো অনেক মসজিদ মাদ্রাসায় দান করতেন সে, যেন সিনেমার হিরো নামক ভিলেন ছিলেন সুমন; সুমনের মৃত্যুতে মাদ্রাসার অনেক শিক্ষক ও ছাত্ররাও কেঁদেছেন বলে জানা যায়। জিরা সুমনের কাছের এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে জিরা সুমনের পরিবারের সাথে আলোচনায় বসলে সুকৌশলে কথা বলে জানা যায় যে, সুমনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮/১০ টা মামলা তৎকালীন সময় চলমান ও কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্টও ছিল। কিন্তু একটা সময়ে রাজনৈতিক নেতাদের ইন্ধনে জিরা সুমনকে বলি হতে হয়। তবে জিরা সুমন ভাল মনের মানুষ ছিলেন, যদিও কুমিল্লা নগরীর সকলেই তাকে খারাপ বলেই জানেন। জানা যায় যে, ওসি ফিরোজ হোসেন তখন কুমিল্লায় ডিবি’র এসআই ছিলেন। জিরা সুমনের নামে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট থাকার কারণে সংবাদ পেয়ে গ্রেফতার করতে গেলে ব্রাক ব্যাংকের সামনে জিরা সুমনের সাথে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তখন বর্তমান ওসি ফিরোজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। পরে জিরা সুমনকে গ্রেফতার করার জন্য কুমিল্লার প্রশাসন একপর্যায়ে তৎপর হয়ে উঠে। গোপন সূত্রে সুমনসহ তার আরও ৪/৫ জন বন্ধুকেও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থেকে গ্রেফতার করেন ডিবির এসআই অর্থাৎ বর্তমান ওসি ফিরোজ হোসেন। তখন তাকে ডিবি অফিসে নিয়ে আসলে জিরা সুমনের মা, সুমনের সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ঐদিন রাতেই সুমন ও তার বন্ধুদেরসহ গ্রেফতারকৃত সকলকেই পালপাড়া মাদক স্পটে নিয়ে ক্রস ফায়ার দেখিয়ে হত্যা করা হয়। পরে সুমনকে ঠাকুরপাড়ায় মাটি দিতে চাইলেও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে উক্ত জায়গায় মাটি দিতে দেওয়া হয়নি। পরে কুমিল্লা নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে মাটি দেওয়া হয় বলে, পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। সুমন ওরফে জিরা সুমনকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করে অনেকের দোয়া পেলেও সন্ত্রাসী পুলিশ অফিসার হিসেবে আখ্যায়িত হন তিনি।

০৮/১২/২০২৪ইং তারিখে যখন ওসি ফিরোজ হোসেন কুমিল্লা কোতয়ালী থানা যোগদান করেন তখন দৈনিক সমাজকন্ঠ পত্রিকার এক নারী সাংবাদিক ফুল নিয়ে শুভেচছা জানাতে গেলে, সে বলেন সামনে নির্বাচন তাই আসলে কারো সাথে ছবি তুলছিনা। উক্ত সময়েই সেই সাংবাদিক বসে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের ২৫/৩০ জন কর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসলে তাদের সকলের সাথে গ্রুপ ফটো এবং আলাদা আলাদা ব্যক্তি কেন্দ্রিক ছবি তিনি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই তুলেন। সাময়িক ধারণা অগোছালো, যদিও ছাত্রলীগের সাথে নির্বাচনীয় মুহুর্তে ছবি তোলা বিতর্ক নয় কিন্তু সাংবাদিকের সাথে ছবি তোলা নিঃসন্দেহে বিতর্ক! ছাত্রলীগের সাথে কি এমন সম্পর্ক রয়েছে ওসি ফিরোজ হোসেন-এর তা আমাদের এখনো অজানা?

কুমিল্লা টাউন হলে কুটি-শিল্প মেলায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল চুরির ঘটনার দৈনিক সমাজকণ্ঠ পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক গেলে ঘটনাস্থলে তদন্ত করে ৪ জনকে সন্দেহভাজন শনাক্ত করে কান্দিরপাড় পুলিশ ফাড়ির পুলিশ গ্রেফতার করে কোতয়ালী মডেল থানার হাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু ওসি ফিরোজ হোসেন তাদেরকে ছেড়ে দেন। অতঃপর থানায় উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংবাদিক থানায় গিয়ে তার মুঠোফোনে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে বললে, ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন আমি আপনার মোবাইল দিয়ে কেন কথা বলবো? তাকে বলেন আমার মুঠোফোনে কল করতে। তৎক্ষণাৎ উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে বাধ্য হয়ে সাংবাদিক ওসি ফিরোজ হোসেন এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আপনার মত কত সাংবাদিকইতো ফোন করেন; আপনাকে চেনার কিইবা আছে! এমন তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাষায় কথা বলার কারণে এক পর্যায়ে ঐ সিনিয়র সাংবাদিক ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

গত ০১/০২/২০২৪ইং তারিখে আরেকজন গণমাধ্যমকর্মীর ফুফু হোসনে আরা বেগম কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। হোসনে আরা বেগম একটি জমি বিক্রি করেন কিন্তু কিছু স্থানীয় চাঁদাবাজ মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করেন ও পাশে থাকা জমি দখলের চেষ্টা করছেন বলে হোসনে আরা বেগম চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এবং বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করেন। এমতাবস্থায় হোসনে আরা’র দুই ছেলে মায়ের উপরে হামলার ঘটনা শুনে ঐ চাঁদাবাজদের পেয়ে মারধর করেন। কিন্তু কোতয়ালী মডেল থানা হোসনে আরা বেগম-এর অভিযোগ নিলেও এখনো পর্যন্ত কোন মামলা নেয়নি। কিন্তু উক্ত অভিযোগকে পিছু হটিয়ে চাঁদাবাজদের পক্ষে মামলা নিয়েছেন ওসি ফিরোজ হোসেন। যদিও উক্ত জমির কিছু অংশের মালিকানাও রয়েছে এক গণমাধ্যমকর্মীর। কিন্তু ওসি সাংবাদিকদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করেন বলে উক্ত গণমাধ্যমকর্মী ওসি ফিরোজ হোসেনের নিকট আর যাননি।

অন্য একজন সংবাদকর্মী জানান যে কুমিল্লা উপ-সিটি মেয়র নির্বাচনের সময় জনৈক মাদক ব্যবসায়ী তার নিজ বাড়িতে মাদক ও অস্ত্র মজুত রেখেছেন; এমন একাধিকবার সংবাদ কোতয়ালী মডেল থানায় দিলেও ওসি ফিরোজ হোসেন অন্য অযুহাত দেখিয়ে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করেননি। এছাড়াও ছিনতাইয়ের দুই বস্তা মোবাইল ফোন উদ্ধার করার ব্যাপারে তাকে জানালে, সে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন সুইচ অফ করে রেখে দেয়।

কেন জানি কুমিল্লাতে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করাই হয় না। গোপন সূত্রে- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদক ব্যবসায়ী জানান যে, আমরা মোটা অংকের মাসিক মাসোয়ারা দেই, তাই হাজার বার বললেও কখন অভিযান পরিচালনা হবে না আর অভিযান পরিচালনা করলে মাসিক মাসোয়ারা বন্ধ করে দেব।
অবশ্যই কুমিল্লা সদরে ক্রাইম ও মামলা কম দেখিয়ে ওসি ফিরোজ হোসেন শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন। নিঃসন্দেহে এটি অবশ্যই ভালো কাজ কিন্তু মানুষ থানায় এমনিতেতো আর থানায় যায় না! নিষ্পেষিত-নিরাপত্তাহীন মানুষের শেষ স্থান হলো থানা, সেখানে গিয়েও যদি মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয় তাহলে এই সেবা দিয়ে কি হবে! কুমিল্লা আদালতে বেড়েছে মামলার সংখ্যা কেননা থানায় মানুষ ঘুরে ঘুরে সেবা না পেয়ে পরে মানুষকে আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হতে হয়। যদিও একটা বিষয় খুবই ভাল দেখা যাচ্ছে যে, ওসি ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে অনেক সামাজিক-অসামাজিক ঝামেলা-মামলা-মোকদ্দমা থানায় কিংবা সামাজিক বৈঠকেই সমাধান হয়ে যায়। তবে ওসি ফিরোজ হোসেন অধিকাংশ মামলা অর্থবিহীন রুজু করেন না বলেও প্রায়ই মানুষকেই বলাবলি করতে শোনা গিয়েছে। ওসি ফিরোজ হোসেন কিছুদিন আগে কুমিল্লা নগরীর সার্কিট হাউস ও প্রেসক্লাবের সামনে কিশোর গ্যাং-এর তান্ডবে ভাল সফলতা দেখিয়েছেন।

ওসি ফিরোজ হোসেন কোতয়ালী মডেল থানায় আসার আগে এ থানার সাবেক ওসি শহিদুল অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে অনেকংশেই কমিয়ে এনেছিলেন অপরাধ-মাদকের মতো অপরাধ। এই প্রথম কুমিল্লায় সিটি মেয়র নির্বাচন সুষ্ঠু হিসেবে কুমিল্লার মানুষকে কোন প্রকার গ্যাঞ্জাম-ফ্যাসাদ ছাড়াই কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সাবেক ওসি শহিদুল। ওসি মঞ্জুর মোর্শেদও প্রতি শুক্রবার কোন না কোন মসজিদে গিয়ে অভিভাবকদের বুঝাতেন ও উঠতি বয়সের কিশোরদের খেলার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিতেন। সাবেক ওসিবৃন্দদের দরজা সব সময় খোলা ছিল সাধারণ মানুষদের জন্য কিন্তু ওসি ফিরোজ-এর নিকট গত ২ মাসে আমাদের অনুসন্ধানী টিম যতবার গিয়েছেন, কোন না কোন দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে চায়ের আড্ডায় তাকে হরহামেশাই দেখা গেছে। তার কথার ধরণ ও ব্যবহার এবং সাংবাদিকদের সাথে মাস্তানস্বরপ আচরণ এতটাই ভয়ানক; তা বলা বহুল্য। কুমিল্লার স্থানী সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা যায় যে ফিরোজ হোসেন কুমিল্লায় ডিবি পুলিশে কর্মরত অবস্থায় সাংবাদিকদেরকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে একাধিক চাদাবাজীর মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণেও নাকি নজির ররছে। আর সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সাথে আচরণ যে কেমন হবে তা আর বুঝার বাকি কিইবা থাকে! সাংবাদিকদের সাথে মারমুখী আচরণ ও অপহৃত সাংবাদিক কন্যার মামলাতে গড়িমশির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিমাসে ১০০ মামলা হয় এতো মামলাতো আর মনে রাখা সম্ভন নহে আপনি এসআই ঈমাম হোসেন আইয়ু তার সাথে কথা বলেন নহেত থানায় এসে তথ্য নিয়ে জান। এসআই ঈমাম হোসেনকে ফোন করে বক্তব্য জানতে চাইলে বলেন আদালতে ১৬৪ এতে ভিকটিম এর জবানবন্দি নিয়ে ০৭ জনকে আসামী করা হলেও ০৪ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে কিন্তু বাকি ০৩ জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি তাই ০৪ জনকে আসামী করে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। প্রশ্নো উঠে যে আদালত ভিকটিমের ২২ ধারা জবানবন্দি নিয়ে ০৭ জনকে আসামী করলে পুলিশ কেন তাদের নাম ঠিকানা যোগার করতে পারেনি তাহলে কি তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয় ভিনগ্রহের প্রাণী যার কারনে নাম ঠিকা যোগার করতে পারেনি বলে মামলা চার্জশিট জমা দিয়ে দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানা যায় রাজনৈতিক বিভিন্ন তকদিরের কারণে এই তিনজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে মামলা চার্জশিট থেকে।

উক্ত বিষয় ঢাকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সোসাইটি (বিএমএসএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খন্দকার আসিফুর রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) সাধারণ সম্পাদক শিবলি সাদিক খান,  বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সোহাগ আরেফিন, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাংবাদিক নেতা মোঃ ফয়সাল বলেন যে, সাংবাদিক আর পুলিশ হলো বন্ধুস্বরুপ; অনিয়ম ও দুর্নীতি ধ্বংস করাই এই দু’দলের কাজ। সাংবাদিক অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন আর পুলিশ নিয়ম লঙ্ঘনকারী ও দুর্নীতিবাজদের ধরে আইনের আওতাধীন এনে বিচারের ব্যবস্থা করেন। কিছু কিছু পুলিশের জন্যে পুরো পুলিশ বাহিনীর দূর্নাম হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উচিৎ আগে থেকেই অসাধু পুলিশরা ক্ষমতার অপব্যবহার করার আগেই এদের লাগাম টেনে ধরা। নয়তো ২/৪ জন অসাধু পুলিশের জন্য পুলিশবাহিনী’র দূর্নাম হবে, যেমনটা হয়েছিলো ওসি প্রদ্বীপের ন্যায়। আর সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার মূলধারার একজন সিনিয়র সাংবাদিক, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা; তার সাথে ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়। মফস্বলের সাংবাদিকেরা সব সময়ই পুলিশের উপরে বড় আস্থা রাখেন। আশা করি, ওসি ফিরোজ হোসেন সংশোধন হয়ে ও শুধরে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন। এছাড়াও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট অপহৃত সাংবাদিক কন্যার মামলার ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। ন্যায়-বিচারের নামে কোন প্রকার অযুহাত দেখালে সারা বাংলাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন জরায়ুমুখ ক্যান্সার রোধে উদ্বোধন অনুষ্ঠান  

সময় ৭৫ অনলাইন রিপোর্টং
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৫ পিএম
ময়মনসিংহ বিভাগীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন জরায়ুমুখ ক্যান্সার রোধে উদ্বোধন অনুষ্ঠান  

এক ডোজ এইচপিভি টিকা দিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন

ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় ময়মনসিংহের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি.) বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ উম্মে সালমা তানজিয়া সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. আশরাফী আহমদ এনডিসি, মহাপরিচালক, নিপোর্ট ঢাকা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি, জনাব ড. মোঃ আশরাফুর রহমান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডা. প্রদীপ কুমার সাহা, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), ময়মনসিংহ; মোঃ ওমর ফারুক, চিফ ফিল্ড অফিসার, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ, ইউনিসেফ; ডা. মোঃ মাজহারুল ইসলাম লিজন, ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার, নিউ ভ্যাকসিন ইন্ট্রোডাকশন, ডাব্লিউএইচও, ঢাকা।

আলোচনা পর্বের শেষে জনসচেতনতা মূলক নাটিকা ও বাউল গান পরিবেশিত হয়। পরে বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদানের মাধ্যমে ময়মনসিংহ বিভাগীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।

মাতারবাড়িতে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁ দাবি শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ

সময় ৭৫ অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৪৯ পিএম
মাতারবাড়িতে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁ দাবি শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ

গত ২১শে অক্টোবর ২০২৪ ইং কক্সবাজার স্থানীয় দৈনিক রূপালী সৈকত ও বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াই “মাতারবাড়িতে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁ দাবি” শীর্ষক সংবাদটি আমার এস্তেফাজুল হকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওখানে আরো উল্লেখ করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে লিয়াজোঁ করে গড়ে তোলা হয়েছে অপরাধ সাম্রাজ্য।

উক্ত সংবাদের প্রতিবাদলিপিতে এস্তেফাজুল হক,
সাধারণ সম্পাদক মাতারবাড়ী ইউনিয়ন ও সিনিয়র সহসভাপতি মহেশখালী উপজেলা বিএনপি বলেন
আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী জনৈক ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের অধিক সময়ে যারা দেশের সম্পদ বিভিন্নভাবে লুটপাট করেছেন তাদের কিছু স্থানীয় এজেন্ট আমি এবং আমার রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ এটি। আমি আওয়ামী দুঃসময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়াও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি দুই দুইবার নির্বাচিত মেম্বার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। এছাড়াও আমি মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে নিজে ক্রয় করে জমি দান করেছি এবং মাতারবাড়ি পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

এসব কারণে কিছু কুচক্রী মহল আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করে নিজেরাই ফায়দা লুটার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কিছু প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের কিছু মানুষের পরিকল্পিত ইন্ধনে আমার ক্ষতি সাধনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্য তাদেরই ষড়যন্ত্রের নীলনকশা। আমি অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিএনপি রাজনীতির পাশাপাশি মসজিদ, মাদ্রাসা,স্কুল সহ নানান সামাজিক দায়িত্ব পালন করে আসছি। দীর্ঘ সময়ের মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভাঙ্গারি লোপাটকারী চোরাকারবারীর সিন্ডিকেট তাদের ব্যবসা নির্বিগ্নে চালিয়ে যেতে জনগনের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
কুচক্রি মহল সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভান্তি সৃষ্টি করছে। সাংবাদিক ভাইদের ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ আপনারা বিভ্রান্ত হবেননা। এমন মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করলে আমি পর্বর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। এছাড়া অভিযোগকারী ব্যাক্তির বিষয়েও তদন্তের আহবান জানাচ্ছি। অবশেষে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএমইউজে বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটি ঘোষণা সভাপতি আনোয়ার সাধারণ সম্পাদক আফজল

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৫৩ এএম
বিএমইউজে বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটি ঘোষণা সভাপতি আনোয়ার সাধারণ সম্পাদক আফজল

বিএমইউজে বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটি ঘোষণা সভাপতি আনোয়ার সাধারণ সম্পাদক আফজল

সরকার অনুমোদিত ও মিডিয়া কপিরাইট তালিকাভুক্ত জাতীয় সাংবাদিক সংগঠন ” বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) BMUJ এর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা শাখা ২ বছর মেয়াদী কমিটি গঠন ও ঘোষনা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ২০২৪ তারিখে স্থানীয় বিশ্বনাথ ব্রাঞ্চ অফিসে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ” সিনিয়র সাংবাদিক নেতা “আলহাজ্ব সোহেল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান সাংবাদিকদের অধিকার মর্যাদা রক্ষায় “বৃহৎতম পেশাদার মফস্বল সাংবাদিকদের কল্যানে ” বিশ্বনাধ উপজেলা কমিটি ঘোষনা করেছেন।

কমিটিতে রয়েছেন সভাপতি : মো.আনোয়ার আলী, সিনি.সহ-সভাপতি: রফিক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক : আফজল মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক : নাজমুল খান, কোষাধ্যক্ষ ও সাংগঠনিক সম্পাদক : মো.আরকুম আলী, নির্বাহী সদস্য : বাউল কবি মীর আজাদ আইবি, নির্বাহী সদস্য :মো. আমির আলী, নির্বাহী সদস্য : সালেহ আহমদ, নির্বাহী সদস্য : বিজয় কর্মকার, নির্বাহী সদস্য : খায়রুল ইসলাম ফাহিম।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন জরায়ুমুখ ক্যান্সার রোধে উদ্বোধন অনুষ্ঠান   মাতারবাড়িতে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাঁ দাবি শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ বিএমইউজে বিশ্বনাথ উপজেলা কমিটি ঘোষণা সভাপতি আনোয়ার সাধারণ সম্পাদক আফজল পতেঙ্গায় আ’লীগ নেতা মধু আলমগীর গ্রেপ্তার হলেও মূল সহযোগী গাভী ইলিয়াস অধরা গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের জন্য অনিরাপদ বাংলাদেশ? রাষ্ট্রপতি শহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবীতে মাওনাতে শ্রমিকদলের বিক্ষোভ মিছিল পাঁচ দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি ফেসবুক সুপারস্টার মনোনেশ দাস ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া সাবেক কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহের ডিবি পুলিশের অভিযানে ৫কেজি গাজাসহ মাদক সম্রাট লালন শেখ গ্রেপ্তার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটি গঠিত চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ)‘র গঠনতন্ত্র অনুমোদন সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ নগরীর কাঁচিঝুলি’তে লে-আউট নকসা ও প্লান অমান্য করে বহুতল ১০তলা ফাতিহা ভবন নির্মাণ করায় অপসারণের নির্দেশ জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ধাওয়া খেয়ে পালালেন ফেনীর মিনার চৌধুরী সারাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নিরাপদে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে -আইজিপি ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়ায় আ’লীগ নেতা কর্মীদের দফায় দফায় বৈঠক; সংঘাতের আশঙ্কা ময়মনসিংহে যমুনা টিভির সাংবাদিকের উপর হামলা ভিডিও জার্নালিস্ট দেলোয়ার আহত; আটক-১ দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ীতে ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে ঘরবাড়ী সহ ফসলের  ব্যপক ক্ষতি অবৈধ দখলদারের মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপে প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার নুরুল হকের পরিবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনে সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে- ডিএমপি কমিশনার ময়মনসিংহে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে ডিবি’র অভিযানে ৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ গ্রেফতার-১ দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সফলতার ১৯ তম বর্ষপূর্তি প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত পর্যটন শিল্প বিকাশে ট্যুরিস্ট পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে – আইজিপি শারদীয় দুর্গাপূজায় জেলা পুলিশ ময়মনসিংহে বিশেষ নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভাগীয় এমসিকিউ) পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে  বিপুর লুটেরা সহযোগী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন কিভাবে বহাল পিজিসিবিতে! ভৈরব থানার ওসি চেয়ার ছেড়ে দিয়ে কাকে বসিয়ে চাটুকারিতা করছেন!