আমি কে এবং কিছু কথা: নুরুজ্জামান রানা’র -খোলা চিঠি
আমি একজন শিল্প উদ্যোক্তা এবং পিবাড়ীয়া গ্রুপের গর্বিত প্রতিষ্ঠাতা। দেশ, মানুষ, এবং ধর্মের প্রতি আমার অঙ্গীকার সবসময়ই ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে নিবেদিত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সমাজের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করলেই আমরা সত্যিকার অর্থে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।
ব্যবসার বাইরে, আমি কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত আছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো পোড়াবাড়ীয়া বায়তুন নূর জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা। এছাড়াও, আমরা ঘাগড়া পোড়াবাড়ীয়া আবদুর রহমান খান ইসলামিয়া মাদরাসা এবং পোড়াবাড়ীয়া ঈদগাঁ ময়দান প্রতিষ্ঠা করেছি। উপজেলার অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজে শরীক থেকেছি এবং থাকছি। রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত, পুল-কালভার্ট তৈরি, বৃক্ষ রোপণ এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করা আমার জন্য একটি প্যাশন।
তরুণ প্রজন্মের শারীরিক সুস্থতা, মানসিক বিকাশ, এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে খেলাধুলার গুরুত্ব বিবেচনা করে, আমি পিবাড়ীয়া গ্রুপের স্পন্সরশীপের মাধ্যমে আমার এলাকায় বিভিন্ন ক্রীড়া কার্যক্রমকে দীর্ঘদিন যাবৎ উৎসাহিত করে আসছি।
প্রতি বছর, পিবাড়ীয়া গ্রুপের সৌজন্যে গফরগাঁও উপজেলায় “ইসলামের আলো” নামে একটি ইসলামিক জ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। এই প্রতিযোগিতা মাদরাসার ছাত্রদের ইসলামী জ্ঞান প্রদর্শনের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং তাদের আত্মিক সংযোগ গভীর করে। এই প্রতিযোগিতা দ্বীনের প্রচার-প্রসার এবং সৎকর্মে মানুষের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি প্রতি বছর একটি ইসলামী মহা সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়।
বাবেল গোলন্দাজের সাথে সাক্ষাতের কারণ কী ছিল?
২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর গফরগাঁওয়ের তৎকালীন এমপি মহোদয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি এবং পিবাড়ীয়া গ্রুপের উদ্যোগে গফরগাঁওয়ে ২০০০ মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অবহিত করি ও সহযোগিতা কামনা করি। তখন এমপি মহোদয় আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, আমাকে সহযোগিতা করবেন, যাতে আমার দেখাদেখি আরও বিনিয়োগকারী গফরগাঁওয়ে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, পরবর্তীতে তেমন কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় আমি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হই।
ডিসেম্বর ২, ২০২১ তারিখে পিবাড়ীয়া গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজিত “ইসলামের আলো” ইসলামিক জ্ঞান প্রতিযোগিতা এবং আমাদের মসজিদ ও মাদরাসার উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এমপি মহোদয়কে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সাক্ষাত করি। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল, অনুষ্ঠান পরবর্তী সময়ে আমার ফ্যাক্টরির স্বার্থ ও এলাকার চারটি রাস্তার উন্নয়ন সম্পর্কিত কিছু দাবিদাওয়া পেশ করা। কিন্তু, তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এমপি মহোদয়কে অবহিত করা হয় যে, আমি বিএনপি পরিবারের সন্তান এবং বিএনপি’র একজন দাতা। এর ফলে, সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি অনুষ্ঠানে আর আসেন নাই। এরপর থেকে আমার বিভিন্ন উদ্যোগে আমি বাধার সম্মুখীন হই।
এমপি বাবেল গোলন্দাজকে অবগত না করে গফরগাঁওয়ের মাটিতে কোনো ফ্যাক্টরি করা বুদ্ধিমানের কাজ হতো কি না, তা আপনারাই বিচার করুন।
জনাব এ বি সিদ্দিকুর রহমানের সাথে সাক্ষাতের কারণ কী?
গতকাল, ২৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে জনাব এ বি সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের উদ্দেশ্য ছিল তাকে আমার ফ্যাক্টরির বিষয়ে অবহিত করা, এর বাইরে কিছু নয়। যদি তাঁর স্থানে অন্য কেউ থাকতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গেই সাক্ষাত করতাম। ভবিষ্যতে যিনি এমপি হবেন, তাঁর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাত করবো। এটি বর্তমানে আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
আমার বাবা বিএনপি’র একজন একনিষ্ট কর্মী এবং স্থানীয় কমিটিতে সক্রিয় ভূমিকা থাকলেও, আমি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিলাম না, এখনো নই, এবং ভবিষ্যতেও হওয়ার ইচ্ছা নেই। ব্যবসা করে আমি যা চাচ্ছি তাই পাচ্ছি, যা করতে চাচ্ছি তাই করতে পারছি। সুতরাং আমাকে নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এটি মনে রাখা জরুরি যে, উদ্যোগতা হিসেবে আমি কর্মসংস্থান তৈরি করছি, সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করছি, এবং রেমিটেন্স আনয়ন করছি। আমাদের মতো উদ্যোগতারা সবসময়ই রাষ্ট্রীয় সম্পদ, তাদের জন্য কোনো দলের ছত্রছায়া প্রয়োজন হয় না।
আপনার মতামত লিখুন