নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের থেকে নাম আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটি। আগামী বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার মধ্যে অনধিক পাঁচ জনের নাম প্রস্তাব করা যাবে।
রোববার (০৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব নজরুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য বিবৃত করা যাচ্ছে যে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগদানের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট সুপারিশ করার লক্ষ্যে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি আগ্রহী ব্যক্তিবর্গের নাম আহ্বান করছে।
এতে বলা হয়, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনসমূহ আগামী ৭ নভেম্বর তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশের জন্য অনধিক ৫ (পাঁচ) জনের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। ব্যক্তিগত পর্যায়েও আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজ নিজ নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বা ই-মেইলযোগে gfp_sec@cabinet.gov.bd পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিন বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বৈঠক করে সার্চ কমিটি। বৈঠকের আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ জানান, দক্ষ, নির্ভীক ও নিরপেক্ষদের সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটি তাদের প্রস্তাবিত নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে।
গত ২৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের নির্বাচনী কাঠামোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন তদারকির জন্য ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মোবাশ্বের মোমেন, রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক মো. আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জীনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করা অন্য কমিশনাররা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব আহসান হাবীব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মোহাম্মদ আলমগীর এবং আনিছুর রহমান। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত এই কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বহুল বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন