খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক, ১৪৩১

মুক্তাগাছায় পৌণে ২ কোটি টাকার চাল পায়নি তদন্ত কমিটি : প্রকাশ্যে এলো দুর্নীতি 

সময় ৭৫ টিভি ডেস্ক রিপোর্ট।।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩, ২:৪৪ পিএম
মুক্তাগাছায় পৌণে ২ কোটি টাকার চাল পায়নি তদন্ত কমিটি : প্রকাশ্যে এলো দুর্নীতি 

ময়মনসিংহের আলোচিত মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে ৩২৮ টন ৯৮০ কেজি চাল পায়নি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। প্রকাশ্যে এলো দুর্নীতি। সরকারের অর্থনৈতিক মূল্য অনুযায়ী উল্লেখিত চালের দাম ১ কোটি ৭০ লাখ ৭২ হাজার ২৮২ টাকা। গুদাম পরিমাপের সময় পাওয়া যায়নি ৮৯ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের ৩০ কেজির ১৪৯৫টি ও ৩০ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ৫০ কেজির ৩৮০টি খালি বস্তা। বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

 

কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী কঠোর গোপনীয়তায় মঙ্গলবার বিকালে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

মঙ্গলবার গোপন থাকলেও বুধবার মামলা দায়েরের খবর ছড়িয়ে পড়ে। মামলায় আসামি করা হয়েছে পালিয়ে যাওয়া খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদকে। অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সরকারি সম্পদ আত্মসাত করার ৪০৯ ধারায় দায়ের করা মামলাটি দুদক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। আলোচিত মামলাটি আপাতত মুক্তাগাছা শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ শফিকুল ইসলাম তদন্ত করছেন।

 

গত মাসের শেষ দিকে ধরা পড়ে মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামের চাল আত্মসাতের ঘটনা। ২০১৯ সালেও ঘটে একই ঘটনা। ৫০০ টন চাল কেলেঙ্কারী নিয়ে তোলপাড় হয়েছিলো। নিম্নমানের পুরাতন চাল কিনে মজুদ, মিল মালিকদের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তখন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়। ওই ঘটনার বিচার না হওয়ায় এবং দুর্নীতিবাজদের লাগাম না টানার কারণে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন।

 

গুদামে চালের মজুদ না দেখেই বিল প্রদান করে সরকারি টাকা আত্মসাতের সহযোগিতা করা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী বুধবার পর্যন্ত বহাল তবিয়তে ছিলেন। কর্তৃপক্ষ তাকে দিয়েই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করান। মুক্তাগাছার এ ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না গুদামের অন্যান্য স্টাফ, ময়মনসিংহের কারিগরী খাদ্য পরিদর্শক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক। তাদের বিরুদ্ধেও পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

জানা যায়, মুক্তাগাছা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে ত্রুটি রয়েছে। মামলা রেকর্ডের আগে ২ বার এজাহার পাল্টানো হয়। চাল ও খালি বস্তা আত্মসাতের তারিখ দেখানো হয়েছে ০৯-০৩-২০২১ থেকে ১৭-১০-২০২৩ তারিখ সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময়।

 

গুদামের মজুদ অনুযায়ী ২ মাস আগে শেষ হওয়া বোরো চাল আত্মসাত করা হয়। আত্মসাতের ঘটনা দেখানো হয় ২ বছর ৭ মাসের যেকোনো সময়। অথচ গুদামে পুরাতন কোনো চাল মজুদ ছিলো না। শাকিলের যোগদান থেকে পালিয়ে যাওয়ার তারিখ পর্যন্ত আত্মসাত দেখানো হাস্যকর এবং আইনের ফাঁক-ফোকর তৈরী করা ছাড়া আর কিছুই নয়। অপরদিকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি অদৃশ্য কারণে

 

কঠোর গোপনীয়তায় দীর্ঘ ২৭ দিন গুদামের চাল পরিমাপ করে। রহস্যজনক কারণে তারা কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলেন। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরও কেউ মুখ খুলছেন না। কঠোর গোপনীয়তার কারণে নানান প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

 

গৌরীপুরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কমিটির প্রধান ছিলেন। ত্রিশালের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইলিয়াস আহমেদ, ফুলপুরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতিকুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরী) নুসরাত বিনতে আনিস ও খাদ্য পরিদর্শক মোঃ শিব্বির আহাম্মদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। তদন্ত কমিটির প্রধানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। ২৪-০৮-২০২০ থেকে ০২-১০-২০২২ তারিখ পর্যন্ত তিনি মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। দুর্নীতিবাজ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ ১ বছর ৭ মাস তার অধীনে চাকরি করেন। তখনই তিনি অতিমাত্রায় দুর্নীতিতে জড়ান।

 

সূত্র জানায়, মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ চাবি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় ২৫ অক্টোবর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা রিয়াজ গুদামের তালা ভেঙে দিলে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি চাল পরিমাপ শুরু করে। ২৭ দিনের মাথায় রবিবার গুদামের চাল পরিমাপ ও গুণগত মান যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়। আত্মসাতের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার প্রাণান্ত অপচেষ্টা চালানো হয়।

 

সূত্র মতে, ২ নম্বর গুদামের ১২টি খামাল ও পেসেজে (করিডোর) থাকা চালের পরিমাপ ৭ নভেম্বর শেষ হয়। পরদিন শুরু হয় ১ নম্বর গুদামের চাল পরিমাপ। রবিবার ১ নম্বর গুদামের ১২টি খামাল ও পেসেজের (করিডোর) চাল পরিমাপের কাজ শেষ হয়েছে।

 

সোমবার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গুদামের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কমিটি কঠোর গোপনীয়তায় সোমবার রাতে কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। কয়েক টন নিম্নমানের চাল পাওয়া গেলেও কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ করেনি।

 

২ গুদামের ২৪টি খামালের মধ্যে কয়েকটি খামালের মাঝামাঝি খাড়া করে বস্তা রেখে মজুদ সঠিক থাকার অভিনব কায়দা করা হয়েছিলো। মজুদ অনুযায়ী ২ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে ৩ হাজার ৩৭৯ টন চাল থাকার কথা ছিলো। ২ মাস আগে শেষ হওয়া বোরো সংগ্রহ মৌসুমে মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে ১৫ হাজার ৪৭২.৮৩০ টন চাল সংগ্রহ করা হয়।

 

মূল বরাদ্দ ১৩ হাজার ৮৪৭.৯১০ ও অতিরিক্ত বরাদ্দ ১ হাজার ৬২৪.৯২০ টন। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত বরাদ্দের ৩০০ টন চাল সরবরাহ না নিয়েই মিল মালিক ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের যোগসাজশে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল বিল উত্তোলন করান। একই সময় অন্য যেকোনো মিলারের কাছ থেকে ২৯ টন চাল সরবরাহ না নিয়েই বিল উত্তোলন করানো হয়।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেও ময়মনসিংহের আলোচিত মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে ৫০০ টন চাল কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হলে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্ণেলিউস চিসিম ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেন।

 

১৮০ টন নিম্নমানের চাল কিনে মজুদ, অতিরিক্ত বরাদ্দের কথা বলে মিল মালিকদের কাছ থেকে ২০০ টন চাল সংগ্রহ ও কম দামে ডিও’র ১২০ টন চাল কিনে মজুদ পুর্ণ করেন। প্রতারণার শিকার মিলারদের চালের বিল না দেওয়ায় সালিস হয়। কর্ণেল স্ট্যাম্পে লিখিত ও চেক প্রদান করেন। টাকা পরিশোধ না করায় বিসমিল্লাহ অটো রাইস মিলের মালিক মোঃ শুকুর আলী ও রাহাত অটো রাইস মিল-১ ও ২ এর মালিক মোঃ আব্দুস সাত্তার কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ এবং চেক ডিজঅনার করিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া করেন।

 

কর্ণেল টাকা পরিশোধ করে মামলা থেকে রক্ষা পান। তিনি ১৭-১১-২০১৬ থেকে ১৯-০২-২০১৯ তারিখ পর্যন্ত মুক্তাগাছায় কর্মরত ছিলেন। ৭ মাস অন্যত্র থাকার পর ০৬-০৯-২০১৯ তারিখে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া খাদ্য গুদামে যোগদান করেন।

 

বদলি নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৩ বছর ২ মাস দুপচাঁচিয়া অবস্থানের মাথায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে কর্ণেল হঠাৎ অসুস্থ হন। কর্তৃপক্ষ গুদাম সিলগালা করে কমিটি দিয়ে পরিমাপ করান। ১১০ টন বোরো চাল কম থাকার ঘটনা ধরা পড়লে ভিন্ন কায়দায় বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়। কমিটি ০৭-১১-২০২২ তারিখে মোঃ শফিউল ইসলামকে গুদামের দায়িত্ব দেয়। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় যোগদানের আগে কর্ণেল নরসিংদীর রায়পুরা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় সেখানেও ১০০ টন চাল ও বিপুল পরিমাণের খালি বস্তা কম পাওয়া যায়। এ নিয়ে চলে তোলপাড়।

 

এক পরিবহন ঠিকাদারের সহযোগিতায় সে যাত্রায় তিনি রক্ষা পান। ঠিকাদারের টাকা পরিশোধ করেন নি কর্ণেল। শেরপুরে বাড়ি ওই ঠিকাদার পাওনা টাকার জন্য কয়েকবার মুক্তাগাছায় হানা দেন। সূত্র মতে, কর্ণেলিউস চিসিম মুক্তাগাছায় কর্মরত থাকার সময় মুসলমানদের দাড়ি নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বেকায়দায় পড়েন। খাদ্য অধিদপ্তরের সংস্থাপন শাখা তাকে কৈফিয়ত তলব করে। মদ খাওয়া নিয়েও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন।

 

মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী জড়িত বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার যোগসাজশেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন। রুবী তার স্বামী খাদ্য অধিদপ্তরের সিস্টেম এনালিষ্টকে দিয়ে তদবির করিয়ে ০২-১০-২০২২ তারিখে মুক্তাগাছায় যোগদান করেন।

 

এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশালে কর্মরত ছিলেন। গুদামে চালের মজুদ নিশ্চিত না হয়েই বিল প্রদান করে তিনি বখরা আদায় করেন। অন্যদিকে মুক্তাগাছার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন সিন্ডিকেট প্রধান মোঃ আব্দুল হালিম। তার মালিকানায় ‘হালিম রাইস এন্ড ফ্লাওয়ার মিল’ থাকলেও শাসন করেন ২৫টি রাইস মিল। নিয়ন্ত্রণ করেন মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামের সকল কর্মকাণ্ড।

 

কাবিখা, ভিজিডি, ভিজিএফ, খাদ্য বান্ধব, ওএমএস এবং রেশনের সকল চাল তার মাধ্যমে বিতরণ করতে হয়। গুদাম থেকে চাল বিতরণ দেখিয়ে আবারো তা মজুদ করে বোরো ও আমন সংগ্রহ দেখানোর পর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। গুদামের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা ও প্রযুক্তির সহযোগিতা নিলেই অনেক প্রমাণ এবং তথ্য পাওয়া যাবে। সংযুক্ত থাকা সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক তুহিন গুদামের মজুদ থেকে শুরু করে সব কিছুর দেখভাল করতেন।

 

শাকিল তার ওপর শতভাগ নির্ভর করতেন। মিলারদের কাছ থেকে চাল রিসিভ, বিল প্রস্তুত, ডিও ডেলিভারী সব কিছুই হতো তুহিনের হাত দিয়ে। এ সুযোগে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। শাকিল পালানোর আগেই তুহিন বিষয়টি বুঝতে পারেন। তড়িঘড়ি মূল কর্মস্থল ময়মনসিংহ সিএসডিতে ফেরত আসেন। মোটা অংক দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরে তদবির করে টাঙ্গাইলে বদলি হন। পোস্টিং নেন বাড়ির কাছের ধনবাড়ি খাদ্য গুদামে। ধুরন্ধর তুহিন বন্ধ রেখেছেন মোবাইল ফোন। তার গ্রামের বাড়ি মধুপুরে। অজপাড়াগাঁওয়ের কৃষক পরিবারের সন্তান তুহিন অনিয়ম, দুর্নীতি ও আত্মসাতের টাকায় বাড়িতে নির্মাণ করছেন বহুতল ভবন।

পাঁচ দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি

সময় ৭৫ অনলাইন রিপোর্টঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৪৫ পিএম
পাঁচ দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ০৫ (পাঁচ) দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্স এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২০ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি.) ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ময়মনসিংহের উক্ত অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি, ড. মোঃ আশরাফুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্সের উদ্বোধন করেন।

এসময় ডিআইজি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই কোর্স মডিউলটি পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও উক্ত ডেস্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান বাস্তবক্ষেত্রে প্রয়োগ করে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সেবা প্রার্থীদের কাঙ্খিত সেবাদানে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিআইজি। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার খালিদ বিন নুর, কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার), ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ময়মনসিংহ।

পরে রেঞ্জ ডিআইজি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা, সিটিজেন চার্টার এবং এসডিজি, সংবিধান, সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ও কনস্টেবল হ্যান্ড বুক সংক্রান্ত সেশন (ক্লাস) পরিচালনা করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এস. এম. আসিফ আল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (স্টাফ অফিসার টু ডিআইজি), রেঞ্জ ডিআইজি’র কার্যালয়, ময়মনসিংহ; মোঃ আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ), আইএসটিসি, ময়মনসিংহ সহ প্রশিক্ষক -প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ।

ফেসবুক সুপারস্টার মনোনেশ দাস

স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৩৮ পিএম
ফেসবুক সুপারস্টার মনোনেশ দাস

চারণ সাংবাদিক ও নাগরিক সাংবাদিক মনোনেশ দাস অনলাইন প্লাটফর্মে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব । সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তিনি পেয়েছেন রাইটার ও রিলস্ ক্রিয়েটর সুপারস্টার সন্মাননা। পেয়েছেন কনসিস্টেন্ট রিলস ক্রিয়েটর , ডিজিটাল ক্রিয়েটর রাইজিং ক্রিয়েটর সন্মাননাও। বিশে^র বহু দেশের বিভিন্ন বিষেয়ে উকিপিডিয়ায় বিভিন্ন ভাষায় সম্পাদনাও করেছেন তিনি। সামাজিক প্রায় সকল মাধ্যমেই তার পদচারনা রয়েছে।
জানা যায়,
মনোনেশ দাস (mononesh das) ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তাই তিনি চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস নামে সুপরিচিত। তিনি মুক্তাগাছার মুজাটি গ্রামের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন। মনোনেশ দাস ১৯৭৫ সালের ২৩ মার্চ মুজাটি গ্রামের এক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মনোনেশ দাস’র সাথে পরিচয় ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে লেখালেখি সময় থেকে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত মনোনেশ দাস সংবাদের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও ধৈর্যের সাথে নিজেকে বেঁধে রেখেছেন। উনার হয়তো আর কেউ এমনভাবে সাংবাদিকতার সাথে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি।
তাই উনার সহকর্মী সাংবাদিক অনুসারীরা তাকে সবসময়ই অনুসরণ করে। মনোনেশ দাস অনেক অবহেলিত বিষয় গণমাধ্যমে সংবাদ হিসেবে উপস্থাপন করে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাই উনার যোগ্যতার প্রতি সম্মান জানিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতার বিশেষ সম্মানে সম্মাননা লাভ করেন এবং চারণ সাংবাদিক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
এখানে উল্লেখ করা ভালো যে চারণ সাংবাদিক কাকে বলে? চারণ সাংবাদিক হলো, মফস্বলে অনেক সাংবাদিক আছেন যারা সত্যি তথ্যটি তুলে ধরার জন্য ঘটনা স্থলে যান এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য মাঠ-ঘাট, গ্রাম্য, জনপদ চষে বেড়ান। সেই সব সাংবাদিকরা চারণ সাংবাদিক নামে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।
চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস দেশ, রাজ্য, সরকার, সমাজ, শহর, সম্প্রদায়, ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ, লোকশিল্প, চিকিৎসা, নববর্ষ, নগরায়ন, বিনোদন, খেলাধুলা, ভাষা আন্দোলন, ধর্ম, ফুল, ফল, পশু-পাখি প্রকৃতিসহ অসংখ্য বিষয়ে লেখালেখি করে সাংবাদিকতায় আলোকপাত করেছেন।
চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস এক অবহেলিত পাড়াগাঁয় থেকে সবচেয়ে যোগ্য আদর্শ সাংবাদিক হয়ে ওঠার এক সূচনাকারী। উনার লেখা মানুষকে উৎসাহিত করে এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে।
মফস্বলের বেশিরভাগ অবহেলিত খবর যেকোনো সংবাদপত্রকে সমৃদ্ধ করে এবং তার সূক্ষ্ম সৌন্দর্যকে নিজস্ব উপায়ে তুলে ধরতে সহকর্মীদেরও উৎসাহিত করে। এর প্রমাণ বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল। গুগল সার্চ বারে বাংলায় মনোনেশ দাস অথবা ইংরেজিতে Mononesh Das লিখে সার্চ ক্লিক করলেই বোঝা যায় যে, উনার সাংবাদিকতার প্রতিভা বাংলাদেশ-সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। সাংবাদিকতার ইতিহাসে তিনি সুদূরপ্রসারী কর্মকাণ্ডের সূচনা।
তিনি বহু বছর ধরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের গ্রাম-শহরে লুকিয়ে থাকা বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করে থাকেন। নিজের মেধার পরিচয় দিয়ে লিখে থাকেন। সেসব লেখা সচরাচর স্থান পায় সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়। তিনি নিজেকে সাংবাদিক হিসাবে উপস্থাপিত জ্ঞান প্রকাশের জন্য একটি অনন্য আদর্শ ব্যক্তিত্ব। তারপর তিনি সহকারী সহসাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন।
সংবাদের বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত যত্নবান ও রুচিশীলতার পরিচয় বহন করেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক পত্রিকায় পাতায় মনোনেশ দাস’র লেখাগুলো। তিনি সাংবাদিকতার বাতিঘর থেকে হয়ে উঠেছে স্বচ্ছ আয়না মতো। এটাই চারণ সাংবাদিক হিসেবে মনোনেশ দাস’র লেখালেখির প্রতিফলন।
উনি মনোনেশ দাস এতোটাই ভালো লিখে থাকেন যে, সময় সময় উনার লেখা খোদ প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়ে। একসময় সচিত্র প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌলিক মানবাধিকারের শর্ত পূরণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুকরণীয়, অনুসরণীয়, উদার, শেষ আশার আশ্রয় নেওয়ার মানুষ হিসেবে হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।”
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন আরও অনেক লেখা লিখেছেন বলে জানান এই চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস। উনারই লেখা ২৬ মে, ২০১৬ইং তারিখে, ঢাকা টাইমস 24 ডট কম শিরোনামে, “দ্য শেল্টার অফ দ্যা রেচড মাদার” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে পড়ে।
এছাড়াও মনোনেশ দাস’র সাংবাদিকতার জীবনে বড় প্রাপ্তি হলো, “ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের তেজপাটুলি গ্রামের বৃদ্ধা মা মরিয়ম নেশা আজ বেঁচে নেই- রয়ে যাবে অনন্ত স্মৃতি” শিরোনামে লেখা রিপোর্টিং তার জীবনে সাংবাদিকতার বড় অর্জন।
এমন আরও চম্বুক শিরোনামে লেখার কারণে একসময় ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান হিসেবে সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ তাকে শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। জুন মাসে ময়মনসিংহের সেরা সংবাদদাতা শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়।
বর্তমানে ইন্টারনেটের সুবাদে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের হাতে মুঠোয় যেমন এই পৃথিবী বন্দী, তেমনই ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে আছে মনোনেশ দাস’র অসংখ্য লেখা। তা প্রমাণ মেলে বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অনুসন্ধানে। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনার কর্মজীবিনের সফলতা কামনা-সহ উনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।

ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া সাবেক কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর

বিষয় প্রতিবেদক ঢাকাঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৫৪ পিএম
ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া সাবেক কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিএনপি সমর্থিত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ( সাবেক ৫২, বর্তমান ১৮ নাম্বার ওয়ার্ড, সেন্ট্রাল রোড, এ্যালিফ্যান্ট রোড ও নিউ মার্কেট এলাকা) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আমলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া ছিলেন।

সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের দ্বারা গুম হত্যার ভয় তাকে তাড়িয়েছে অন্যদিকে র্নিমম নির্যাতন অত্যাচার এবং একাধিক মামলায় আক্রান্ত হয়েছেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর।
পরিবারসূত্রে জানাযায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর, মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীরের আপন ছোট ভাই। ১৯৮৪ সালে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরকে নিজ খরচে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সুইডেন নিয়ে আসেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর। এরপর ১৯৮৭ সালে তার মা, ছোট বোন সামিয়া আক্তার রুমা (০৯), মোজাম্মেল হোসেন (১২) কে সুইডেন নিয়ে আসেন। এছাড়াও আফরোজ জাহান পারভীন, তার ছেলেসহ তাদেরকেও সুইডেন নিয়ে আসেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর। বর্তমানে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সহ অন্যান্য ভাই-বোনেরা সুইডেন বসবাস করছেন ।

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আমি ও আমার পরিবার সবাই সুইডেনের নাগরিকত্ব পেয়েছি।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার আপন ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের ছত্র-ছায়ায় থাকতেন।

সে বিভিন্ন সময় নানান অযুহাত ও সু-কৌশলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হয়রানি নির্যাতন করতে আওয়ামী সরকারের কলাবাগান থানার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল (১৬ নং ওর্য়াড) এবং আওয়ামী সাবেক সভাপতি শহীদুল কবির শহীদ (১৮ নং ওর্য়াড) এর সহযোগীতায় সন্ত্রাসী ক্যাডার দিয়ে বিভিন্নভাবে হত্যা,গুম, প্রাণনাশের হুমকী অব্যাহত রেখে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে আমাকে আমার স্ত্রী, ষোল মাসের শিশু সন্তানসহ আমার চার (০৪) বছরের শিশু সন্তানকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়।

বিএনপির সাবেক এই নেতা জাহাঙ্গীর বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধরে রেখে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পদ পদবি অর্জন করি। আমি ছাত্র জীবন থেকেই ১৯৭৭ সালে গঠিত জাগো দলের অঙ্গ সংগঠন জাগো ছাত্রদল ঢাকা মহানগরীর আহব্বায়ক এবং জাগো ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় আহব্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলাম। ১৯৭৮ সালে যখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হয় তখন যুব দল ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য ও ধানমন্ডি থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম।
১৯৮৪ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সময় রাজনৈতিক অস্তিরতার কারণে দেশে বসবাস করা আমার জন্য ঝুকিঁপূর্ণ ও হুমকীর সম্মুখীন হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাইফুর রহমান নান্টু সহ অন্যান্য শুভকাঙ্খী ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগীতায় আমার জীবন রক্ষার্থে সুইডেন পাঠিয়ে দেন। সুইডেন গিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।
অতপর সুইডেন,ডেনমার্ক,নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। পরে সেই সব দেশে আলাদা আলাদা কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে সুইডেন শাখার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করি।
এরপর ২০০২ সালে স্বদেশে এসে বর্তমান ১৮ নং ওর্য়াড ( সাবেক ৫২ নং ওর্য়াড ) থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কমিশনার পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে নির্বাচিত হই। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জনগনের সেবা করি। এর মধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।
মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় ২০০৯ সালে দলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। স্থানীয় জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ের দারপ্রান্তে নিয়ে যায়। কিন্তু আওয়ামীলীগের প্রার্থী সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি ছুড়ে কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করে। এতে কিছু কেন্দ্র স্থগিত করা হয়। পরে ঐ বছরেই ১৬ মার্চ পূনঃ নির্বাচন দেওয়া হয়। তখন আওয়ামীলীগ প্রার্থী সমর্থকরা লাঠি, বৈঠা, অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখল করে নিজেরাই ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।

তিনি দুঃখ ভারাক্লান্ত মনে বলেন আমার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংশ করার জন্যে আমারই আপন ছোট ভাই আলমগীর সাবেক সরকারের বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দ্বারা একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ভুল ব্যাখা দিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়াতে মিথ্যে তথ্যের বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে।

জাহাঙ্গীর আরোও বলেন, সবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আমার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা আমাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বিতারিত করে। রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ৯০ নাম্বার সেন্ট্রাল রোডের দুই কাঠা জায়গার উপর ছয় তলা বিশিষ্ট বাড়ি সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের যোগসাজসে পুরো বাড়িটি ভোগ দখল ও আত্মসাৎ করে।
এ বাড়ীর দখল নিশ্চিত করতে ছোট ভাই আলমগীর বিগত ২০১৭ সালে নিজে বাদী হয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর নামে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আমার পিতা এ কে আহমদ হোসেন কোন জিডি ও মামলা করে নাই। বিগত ২০১১ সালে ১৩ই ফেব্রুয়ারি একটি হলফনামায় অঙ্গীকার করে গেছেন। তিনি হলফ নামায় বলেছেন, জিডি ও মামলা এসব ভুয়া বানোয়াট ও মিথ্যা। এরপরও ভিত্তিহীন ভাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর বিভিন্ন প্ররোচনায় বাড়ির বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর বিজ্ঞ আদালত সবকিছু তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি খারিজ করে দেন। বিজ্ঞ আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে চারতলার ফ্ল্যাটটি জাহাঙ্গীর বসবাস করবেন ।
এরপর চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলার নাম্বার ১১১। মামলাটি চলমান রয়েছে ।

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, তার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর দেশ-বিদেশে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে থেকে দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত তার এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে। আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে এই সকল হয়রানি নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে সহযোগিতা কামনা করছি।

পাঁচ দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি ফেসবুক সুপারস্টার মনোনেশ দাস ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া সাবেক কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহের ডিবি পুলিশের অভিযানে ৫কেজি গাজাসহ মাদক সম্রাট লালন শেখ গ্রেপ্তার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটি গঠিত চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ)‘র গঠনতন্ত্র অনুমোদন সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ নগরীর কাঁচিঝুলি’তে লে-আউট নকসা ও প্লান অমান্য করে বহুতল ১০তলা ফাতিহা ভবন নির্মাণ করায় অপসারণের নির্দেশ জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ধাওয়া খেয়ে পালালেন ফেনীর মিনার চৌধুরী সারাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নিরাপদে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে -আইজিপি ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়ায় আ’লীগ নেতা কর্মীদের দফায় দফায় বৈঠক; সংঘাতের আশঙ্কা ময়মনসিংহে যমুনা টিভির সাংবাদিকের উপর হামলা ভিডিও জার্নালিস্ট দেলোয়ার আহত; আটক-১ দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ীতে ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে ঘরবাড়ী সহ ফসলের  ব্যপক ক্ষতি অবৈধ দখলদারের মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপে প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার নুরুল হকের পরিবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনে সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে- ডিএমপি কমিশনার ময়মনসিংহে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে ডিবি’র অভিযানে ৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ গ্রেফতার-১ দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সফলতার ১৯ তম বর্ষপূর্তি প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত পর্যটন শিল্প বিকাশে ট্যুরিস্ট পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে – আইজিপি শারদীয় দুর্গাপূজায় জেলা পুলিশ ময়মনসিংহে বিশেষ নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভাগীয় এমসিকিউ) পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে  বিপুর লুটেরা সহযোগী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন কিভাবে বহাল পিজিসিবিতে! ভৈরব থানার ওসি চেয়ার ছেড়ে দিয়ে কাকে বসিয়ে চাটুকারিতা করছেন! গণমাধ্যমের সাথে আলোচনা করে কমিশন করা হবে -তথ্য উপদেষ্টা ময়মনসিংহে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে রেঞ্জ ডিআইজি’র মতবিনিময় সভা ঢাকা মাতাতে আসছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত ব্যান্ডদল ‘জাল’ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গাড়িতে আগুন ভাঙ্গচুর ও অস্ত্র লুটের অভিযোগ উঠে নূর মোহাম্মদ এর উপর বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন নাঙ্গলকোট উপজেলা শাখার উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের মাঝে খাদ্য বিতরণ বৈষম্য বিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল পুলিশ সদস্যদের কাজ করার আহবান নবাগত রেঞ্জ ডিআইজি ড. মো: আশরাফুর রহমান ময়মনসিংহ রেঞ্জে নবনিযুক্ত ডিআইজি ড. মোঃ আশরাফুর রহমানের যোগদান