খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক, ১৪৩১

বাংলাদেশে বৃহত্তর বিদেশি বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

সময় ৭৫ টিভি ডেস্ক রিপোর্ট।।
প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:২২ পিএম
বাংলাদেশে বৃহত্তর বিদেশি বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আরো বিদেশি বিনিয়োগ চেয়ে বলেছেন, তাঁর সরকার বৃহত্তর বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।

 

তিনি বলেন, ‘আরো বেশি পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আসতে পারে সেজন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি।’প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ‘হোটেল রেডিসন ব্লু’তে ফরেন ইনভেস্টরস্ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই-ফিকি) -এর ৬০ বছর পূতি উদযাপন এবং দু’দিন ব্যাপী ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩ এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

 

‘আমরা সারাদেশে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ৩৯টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করেছি। এগুলো বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে,’

 

 উল্লেখ করে তিনি বলেন,  ‘এককভাবে কোন দেশ যদি এক খন্ড জমি চায় আমরা তাও দেব আবার যদি কেউ যৌথ উদ্যোগে করতে চান সেটাও করা হবে অথবা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে  করতে চাইলে সেটাও করা হবে।

 

’তিনি বলেন, তাঁর সরকার অনেকগুলো সংস্থা তৈরি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), বাংলাদেশ ইকোনমিক প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি (এইচটিপিএ) এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)।

 

বিনিয়োগের সুবিধার্থে বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাগুলোতে ওয়ান স্টপ পরিষেবা চালু করা হয়েছে।সরকার প্রধান বলেন, বিনিয়োগ পরিষেবা প্রদানকারী সমস্ত অফিস সম্পূর্ণ অনলাইন এবং ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি।

 

একইসাথে কর মওকুফ, রেমিটেন্স রয়্যালটি, প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ এবং মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, আইন দ্বারা বিদেশী বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।তিনি বলেন, তাঁর সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২-এ সরবরাহ খাত, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট খাত এবং পর্যটন খাতকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

 

‘ব্লু-ইকোনমি’র প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ব্লু-ইকোনমি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। লজিস্টিক শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে অন্যান্য শিল্প খাতের উন্নতি ত্বরান্বিত করার লক্ষে জাতীয় লজিস্টিকস ডেভেলপমেন্ট পলিসি প্রণয়নের কাজ চলছে।

 

বাংলাদেশে এখন জ্বালানি, পানি, লজিস্টিকস এবং পরিবহন খাতে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অবকাঠামো গড়ার সুযোগ রয়েছে।’তিনি বলেন,  ‘২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে শেখ হাসিনা বলেন, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ও শক্তিশালী রপ্তানি কৌশল এবং শিল্পনীতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপি-তে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশে উন্নীত করতে চাই।

 

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন প্রায় সতের কোটি মানুষের একটি বড় অভ্যন্তরীণ বাজার। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে আমাদের দেশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনীক শ্রেণির সংখা হবে ৩ কোটি ৪০ লাখ। ২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার।

 

কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩শ’ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হতে পারে।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া, ফিকি’র সভাপতি নাসের ইজাজ বিজয় ও সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি দীপল আবেবিক্রমা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী কয়েকজন আন্তর্জাতিক সফল বিনিয়োগকারীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।‘ফর এভার ফিউচার ফরওয়ার্ড’ শিরোনামের একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।

 

প্রধানমন্ত্রী ফিকির গবেষণা প্রতিবেদন ‘ক্যাটালাইজিং গ্রেটার এফডিআই ফর ভিশন-২০৪১: প্রাইওরিটিজ ফর বিল্ডিং এ কনডাক্টিভ ট্যাক্স সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ এবং ইএসজি কমিটি প্রণোদিত ‘ইএসজি স্ট্রাটেজিস এন্ড ইমপাক্টস ফ্রম দি মেম্বারস অব এফআইসিসিসিআই’ শীর্ষক দু’টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচান করেন।প্রধানমন্ত্রীকে প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী ও ভাস্কর হামিদুজ্জামান খানের তৈরি একটি স্মারক উপহার দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রতীক।বিডা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হল এফআইসিসিআই’র ৬০ বছর উদযাপন এবং বিনিয়োগ এক্সপো-২০২৩-এর কৌশলগত অংশীদার।

 

ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো -২০২৩ এফআইসিসিআই সদস্য এবং সরকারি স্টেকহোল্ডারদের প্রদর্শকদের সাথে স্থানীয় এবং বিদেশী উভয় বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে ৪০টি স্টল প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করেছে। ‘রেডিসন ব্লু’ এর ওয়াটার গার্ডেনে ‘ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩’ আজ এবং আগামীকাল চলবে এবং সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, বৃহৎ অভ্যন্তরীণ বাজার, কৌশলগত অবস্থান, উচ্চ মুনাফা, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের কাছে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

 

দেশের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, এসকল সাফল্যের ওপর দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ এখন ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

 

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মোট জনগোষ্ঠীর ৭৮.৫৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যা বিশ্বব্যাপী অনলাইন শ্রমের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। আইসিটি রপ্তানি খাতে ২০২৩ সালে আমরা অর্জন করেছি ১.৯ বিলিয়ন ডলার। আশা করা হচ্ছে ২০২৫ সাল নাগাদ এই খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।

 

‘শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়সমূহ ও বাণিজ্য সংহতকরণের ফলে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় মাত্র এক দশকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২,৭৯৩ মার্কিন ডলারে। জিডিপির আকার ২০০৬ সালের ৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০.৩১ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

 

এই সময়ের মধ্যে দারিদ্রের হার প্রায় ৩ গুণ কমে ১৮.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।উৎপাদন খাত ছাড়াও, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ব্যক্তিখাতে ভোগ বৃদ্ধি, যাকে প্রাথমিকভাবে সহায়তা করছে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ, শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থনীতি, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ ও জ্বালানি খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের বিগত প্রায় ১৫ বছরের উন্নয়নের কৃতিত্ব দেশের বেসরকারি খাতের। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা বেসরকারি খাতের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত করে দেই। গত ১৫ বছরে আমরা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে নানা মূখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। এর ফলে বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।সরকার প্রধান বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা মাত্র ৩ বছর ৭ মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেছিলেন। যেটা ’৭৫ সালে আমরা স্বীকৃতি পাই কিন্তু এরপর আর বেশিদূর এগুতে পারেনি।

 

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং বাণিজ্য সংহতকরণের ওপর ভিত্তি করে আজকের এই টেকসই অর্থনীতি ও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে এবং২০২৬ সাল থেকে এই উন্নয়নশীল দেশের অগ্রযাত্রা শুরু হবে। তার প্রস্তুতিও আমরা এখন থেকে নিচ্ছি।শেখ হাসিনা বলেন, আশা করা হচ্ছে ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

 

২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। কারণ, জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজিও তাঁর সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে এবং এতে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক সমস্যার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে। তবুও এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

 

তিনি ফিকি’র সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা আমাদের লক্ষ্যের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে টেকসই ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবসার বিকাশ ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে ফিকি’র প্রকাশনা দু’টি এবং ‘ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩’ সহযোগিতা করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পাঁচ দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি

সময় ৭৫ অনলাইন রিপোর্টঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৪৫ পিএম
পাঁচ দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ০৫ (পাঁচ) দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্স এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২০ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রি.) ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ময়মনসিংহের উক্ত অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি, ড. মোঃ আশরাফুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্সের উদ্বোধন করেন।

এসময় ডিআইজি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই কোর্স মডিউলটি পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও উক্ত ডেস্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান বাস্তবক্ষেত্রে প্রয়োগ করে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সেবা প্রার্থীদের কাঙ্খিত সেবাদানে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিআইজি। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার খালিদ বিন নুর, কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার), ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ময়মনসিংহ।

পরে রেঞ্জ ডিআইজি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা, সিটিজেন চার্টার এবং এসডিজি, সংবিধান, সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ও কনস্টেবল হ্যান্ড বুক সংক্রান্ত সেশন (ক্লাস) পরিচালনা করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এস. এম. আসিফ আল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (স্টাফ অফিসার টু ডিআইজি), রেঞ্জ ডিআইজি’র কার্যালয়, ময়মনসিংহ; মোঃ আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ), আইএসটিসি, ময়মনসিংহ সহ প্রশিক্ষক -প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ।

ফেসবুক সুপারস্টার মনোনেশ দাস

স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৩৮ পিএম
ফেসবুক সুপারস্টার মনোনেশ দাস

চারণ সাংবাদিক ও নাগরিক সাংবাদিক মনোনেশ দাস অনলাইন প্লাটফর্মে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব । সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তিনি পেয়েছেন রাইটার ও রিলস্ ক্রিয়েটর সুপারস্টার সন্মাননা। পেয়েছেন কনসিস্টেন্ট রিলস ক্রিয়েটর , ডিজিটাল ক্রিয়েটর রাইজিং ক্রিয়েটর সন্মাননাও। বিশে^র বহু দেশের বিভিন্ন বিষেয়ে উকিপিডিয়ায় বিভিন্ন ভাষায় সম্পাদনাও করেছেন তিনি। সামাজিক প্রায় সকল মাধ্যমেই তার পদচারনা রয়েছে।
জানা যায়,
মনোনেশ দাস (mononesh das) ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তাই তিনি চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস নামে সুপরিচিত। তিনি মুক্তাগাছার মুজাটি গ্রামের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন। মনোনেশ দাস ১৯৭৫ সালের ২৩ মার্চ মুজাটি গ্রামের এক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মনোনেশ দাস’র সাথে পরিচয় ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে লেখালেখি সময় থেকে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত মনোনেশ দাস সংবাদের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও ধৈর্যের সাথে নিজেকে বেঁধে রেখেছেন। উনার হয়তো আর কেউ এমনভাবে সাংবাদিকতার সাথে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি।
তাই উনার সহকর্মী সাংবাদিক অনুসারীরা তাকে সবসময়ই অনুসরণ করে। মনোনেশ দাস অনেক অবহেলিত বিষয় গণমাধ্যমে সংবাদ হিসেবে উপস্থাপন করে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাই উনার যোগ্যতার প্রতি সম্মান জানিয়ে নাগরিক সাংবাদিকতার বিশেষ সম্মানে সম্মাননা লাভ করেন এবং চারণ সাংবাদিক হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
এখানে উল্লেখ করা ভালো যে চারণ সাংবাদিক কাকে বলে? চারণ সাংবাদিক হলো, মফস্বলে অনেক সাংবাদিক আছেন যারা সত্যি তথ্যটি তুলে ধরার জন্য ঘটনা স্থলে যান এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য মাঠ-ঘাট, গ্রাম্য, জনপদ চষে বেড়ান। সেই সব সাংবাদিকরা চারণ সাংবাদিক নামে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।
চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস দেশ, রাজ্য, সরকার, সমাজ, শহর, সম্প্রদায়, ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ, লোকশিল্প, চিকিৎসা, নববর্ষ, নগরায়ন, বিনোদন, খেলাধুলা, ভাষা আন্দোলন, ধর্ম, ফুল, ফল, পশু-পাখি প্রকৃতিসহ অসংখ্য বিষয়ে লেখালেখি করে সাংবাদিকতায় আলোকপাত করেছেন।
চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস এক অবহেলিত পাড়াগাঁয় থেকে সবচেয়ে যোগ্য আদর্শ সাংবাদিক হয়ে ওঠার এক সূচনাকারী। উনার লেখা মানুষকে উৎসাহিত করে এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে।
মফস্বলের বেশিরভাগ অবহেলিত খবর যেকোনো সংবাদপত্রকে সমৃদ্ধ করে এবং তার সূক্ষ্ম সৌন্দর্যকে নিজস্ব উপায়ে তুলে ধরতে সহকর্মীদেরও উৎসাহিত করে। এর প্রমাণ বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল। গুগল সার্চ বারে বাংলায় মনোনেশ দাস অথবা ইংরেজিতে Mononesh Das লিখে সার্চ ক্লিক করলেই বোঝা যায় যে, উনার সাংবাদিকতার প্রতিভা বাংলাদেশ-সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। সাংবাদিকতার ইতিহাসে তিনি সুদূরপ্রসারী কর্মকাণ্ডের সূচনা।
তিনি বহু বছর ধরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের গ্রাম-শহরে লুকিয়ে থাকা বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করে থাকেন। নিজের মেধার পরিচয় দিয়ে লিখে থাকেন। সেসব লেখা সচরাচর স্থান পায় সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়। তিনি নিজেকে সাংবাদিক হিসাবে উপস্থাপিত জ্ঞান প্রকাশের জন্য একটি অনন্য আদর্শ ব্যক্তিত্ব। তারপর তিনি সহকারী সহসাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন।
সংবাদের বিষয়বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত যত্নবান ও রুচিশীলতার পরিচয় বহন করেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক পত্রিকায় পাতায় মনোনেশ দাস’র লেখাগুলো। তিনি সাংবাদিকতার বাতিঘর থেকে হয়ে উঠেছে স্বচ্ছ আয়না মতো। এটাই চারণ সাংবাদিক হিসেবে মনোনেশ দাস’র লেখালেখির প্রতিফলন।
উনি মনোনেশ দাস এতোটাই ভালো লিখে থাকেন যে, সময় সময় উনার লেখা খোদ প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়ে। একসময় সচিত্র প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌলিক মানবাধিকারের শর্ত পূরণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুকরণীয়, অনুসরণীয়, উদার, শেষ আশার আশ্রয় নেওয়ার মানুষ হিসেবে হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।”
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন আরও অনেক লেখা লিখেছেন বলে জানান এই চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস। উনারই লেখা ২৬ মে, ২০১৬ইং তারিখে, ঢাকা টাইমস 24 ডট কম শিরোনামে, “দ্য শেল্টার অফ দ্যা রেচড মাদার” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে পড়ে।
এছাড়াও মনোনেশ দাস’র সাংবাদিকতার জীবনে বড় প্রাপ্তি হলো, “ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের তেজপাটুলি গ্রামের বৃদ্ধা মা মরিয়ম নেশা আজ বেঁচে নেই- রয়ে যাবে অনন্ত স্মৃতি” শিরোনামে লেখা রিপোর্টিং তার জীবনে সাংবাদিকতার বড় অর্জন।
এমন আরও চম্বুক শিরোনামে লেখার কারণে একসময় ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান হিসেবে সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ তাকে শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। জুন মাসে ময়মনসিংহের সেরা সংবাদদাতা শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়।
বর্তমানে ইন্টারনেটের সুবাদে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের হাতে মুঠোয় যেমন এই পৃথিবী বন্দী, তেমনই ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে আছে মনোনেশ দাস’র অসংখ্য লেখা। তা প্রমাণ মেলে বিশ্ববিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের অনুসন্ধানে। আমি ব্যক্তিগতভাবে উনার কর্মজীবিনের সফলতা কামনা-সহ উনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।

ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া সাবেক কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর

বিষয় প্রতিবেদক ঢাকাঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৫৪ পিএম
ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া সাবেক কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিএনপি সমর্থিত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ( সাবেক ৫২, বর্তমান ১৮ নাম্বার ওয়ার্ড, সেন্ট্রাল রোড, এ্যালিফ্যান্ট রোড ও নিউ মার্কেট এলাকা) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আমলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া ছিলেন।

সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের দ্বারা গুম হত্যার ভয় তাকে তাড়িয়েছে অন্যদিকে র্নিমম নির্যাতন অত্যাচার এবং একাধিক মামলায় আক্রান্ত হয়েছেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর।
পরিবারসূত্রে জানাযায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর, মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীরের আপন ছোট ভাই। ১৯৮৪ সালে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরকে নিজ খরচে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সুইডেন নিয়ে আসেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর। এরপর ১৯৮৭ সালে তার মা, ছোট বোন সামিয়া আক্তার রুমা (০৯), মোজাম্মেল হোসেন (১২) কে সুইডেন নিয়ে আসেন। এছাড়াও আফরোজ জাহান পারভীন, তার ছেলেসহ তাদেরকেও সুইডেন নিয়ে আসেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর। বর্তমানে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সহ অন্যান্য ভাই-বোনেরা সুইডেন বসবাস করছেন ।

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আমি ও আমার পরিবার সবাই সুইডেনের নাগরিকত্ব পেয়েছি।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার আপন ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের ছত্র-ছায়ায় থাকতেন।

সে বিভিন্ন সময় নানান অযুহাত ও সু-কৌশলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হয়রানি নির্যাতন করতে আওয়ামী সরকারের কলাবাগান থানার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল (১৬ নং ওর্য়াড) এবং আওয়ামী সাবেক সভাপতি শহীদুল কবির শহীদ (১৮ নং ওর্য়াড) এর সহযোগীতায় সন্ত্রাসী ক্যাডার দিয়ে বিভিন্নভাবে হত্যা,গুম, প্রাণনাশের হুমকী অব্যাহত রেখে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে আমাকে আমার স্ত্রী, ষোল মাসের শিশু সন্তানসহ আমার চার (০৪) বছরের শিশু সন্তানকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়।

বিএনপির সাবেক এই নেতা জাহাঙ্গীর বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধরে রেখে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পদ পদবি অর্জন করি। আমি ছাত্র জীবন থেকেই ১৯৭৭ সালে গঠিত জাগো দলের অঙ্গ সংগঠন জাগো ছাত্রদল ঢাকা মহানগরীর আহব্বায়ক এবং জাগো ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় আহব্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলাম। ১৯৭৮ সালে যখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হয় তখন যুব দল ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য ও ধানমন্ডি থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম।
১৯৮৪ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সময় রাজনৈতিক অস্তিরতার কারণে দেশে বসবাস করা আমার জন্য ঝুকিঁপূর্ণ ও হুমকীর সম্মুখীন হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাইফুর রহমান নান্টু সহ অন্যান্য শুভকাঙ্খী ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগীতায় আমার জীবন রক্ষার্থে সুইডেন পাঠিয়ে দেন। সুইডেন গিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।
অতপর সুইডেন,ডেনমার্ক,নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। পরে সেই সব দেশে আলাদা আলাদা কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে সুইডেন শাখার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করি।
এরপর ২০০২ সালে স্বদেশে এসে বর্তমান ১৮ নং ওর্য়াড ( সাবেক ৫২ নং ওর্য়াড ) থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কমিশনার পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে নির্বাচিত হই। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জনগনের সেবা করি। এর মধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।
মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় ২০০৯ সালে দলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। স্থানীয় জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ের দারপ্রান্তে নিয়ে যায়। কিন্তু আওয়ামীলীগের প্রার্থী সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি ছুড়ে কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করে। এতে কিছু কেন্দ্র স্থগিত করা হয়। পরে ঐ বছরেই ১৬ মার্চ পূনঃ নির্বাচন দেওয়া হয়। তখন আওয়ামীলীগ প্রার্থী সমর্থকরা লাঠি, বৈঠা, অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখল করে নিজেরাই ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।

তিনি দুঃখ ভারাক্লান্ত মনে বলেন আমার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংশ করার জন্যে আমারই আপন ছোট ভাই আলমগীর সাবেক সরকারের বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দ্বারা একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ভুল ব্যাখা দিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়াতে মিথ্যে তথ্যের বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে।

জাহাঙ্গীর আরোও বলেন, সবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আমার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা আমাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বিতারিত করে। রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ৯০ নাম্বার সেন্ট্রাল রোডের দুই কাঠা জায়গার উপর ছয় তলা বিশিষ্ট বাড়ি সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের যোগসাজসে পুরো বাড়িটি ভোগ দখল ও আত্মসাৎ করে।
এ বাড়ীর দখল নিশ্চিত করতে ছোট ভাই আলমগীর বিগত ২০১৭ সালে নিজে বাদী হয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর নামে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আমার পিতা এ কে আহমদ হোসেন কোন জিডি ও মামলা করে নাই। বিগত ২০১১ সালে ১৩ই ফেব্রুয়ারি একটি হলফনামায় অঙ্গীকার করে গেছেন। তিনি হলফ নামায় বলেছেন, জিডি ও মামলা এসব ভুয়া বানোয়াট ও মিথ্যা। এরপরও ভিত্তিহীন ভাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর বিভিন্ন প্ররোচনায় বাড়ির বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর বিজ্ঞ আদালত সবকিছু তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি খারিজ করে দেন। বিজ্ঞ আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে চারতলার ফ্ল্যাটটি জাহাঙ্গীর বসবাস করবেন ।
এরপর চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলার নাম্বার ১১১। মামলাটি চলমান রয়েছে ।

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, তার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর দেশ-বিদেশে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে থেকে দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত তার এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে। আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে এই সকল হয়রানি নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে সহযোগিতা কামনা করছি।

পাঁচ দিন মেয়াদী ‘নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক’ সহায়তা কোর্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেঞ্জ ডিআইজি ফেসবুক সুপারস্টার মনোনেশ দাস ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে রাজধানীর পৈত্রিক সম্পদ ও ঘর ছাড়া সাবেক কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহের ডিবি পুলিশের অভিযানে ৫কেজি গাজাসহ মাদক সম্রাট লালন শেখ গ্রেপ্তার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটি গঠিত চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিআরএ)‘র গঠনতন্ত্র অনুমোদন সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ নগরীর কাঁচিঝুলি’তে লে-আউট নকসা ও প্লান অমান্য করে বহুতল ১০তলা ফাতিহা ভবন নির্মাণ করায় অপসারণের নির্দেশ জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ধাওয়া খেয়ে পালালেন ফেনীর মিনার চৌধুরী সারাদেশে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নিরাপদে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে -আইজিপি ময়মনসিংহের চর নিলক্ষীয়ায় আ’লীগ নেতা কর্মীদের দফায় দফায় বৈঠক; সংঘাতের আশঙ্কা ময়মনসিংহে যমুনা টিভির সাংবাদিকের উপর হামলা ভিডিও জার্নালিস্ট দেলোয়ার আহত; আটক-১ দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ীতে ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে ঘরবাড়ী সহ ফসলের  ব্যপক ক্ষতি অবৈধ দখলদারের মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপে প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার নুরুল হকের পরিবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনে সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে- ডিএমপি কমিশনার ময়মনসিংহে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে ডিবি’র অভিযানে ৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ গ্রেফতার-১ দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সফলতার ১৯ তম বর্ষপূর্তি প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত পর্যটন শিল্প বিকাশে ট্যুরিস্ট পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে – আইজিপি শারদীয় দুর্গাপূজায় জেলা পুলিশ ময়মনসিংহে বিশেষ নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভাগীয় এমসিকিউ) পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে  বিপুর লুটেরা সহযোগী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন কিভাবে বহাল পিজিসিবিতে! ভৈরব থানার ওসি চেয়ার ছেড়ে দিয়ে কাকে বসিয়ে চাটুকারিতা করছেন! গণমাধ্যমের সাথে আলোচনা করে কমিশন করা হবে -তথ্য উপদেষ্টা ময়মনসিংহে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে রেঞ্জ ডিআইজি’র মতবিনিময় সভা ঢাকা মাতাতে আসছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত ব্যান্ডদল ‘জাল’ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গাড়িতে আগুন ভাঙ্গচুর ও অস্ত্র লুটের অভিযোগ উঠে নূর মোহাম্মদ এর উপর বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন নাঙ্গলকোট উপজেলা শাখার উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের মাঝে খাদ্য বিতরণ বৈষম্য বিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল পুলিশ সদস্যদের কাজ করার আহবান নবাগত রেঞ্জ ডিআইজি ড. মো: আশরাফুর রহমান ময়মনসিংহ রেঞ্জে নবনিযুক্ত ডিআইজি ড. মোঃ আশরাফুর রহমানের যোগদান