আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে। শান্তি ও সম্প্রতি রক্ষায় বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যকে প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুুত আছি সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে নগরীর টাউন হলের সামনে বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
তিনি আরো বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ-বিদেশে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা দেখছেন গতকয়েকদিন যাবৎ বিএনপি- জামাত জোট যারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। এটি কোনভাবেই কাম্য নয়। আমাদের ছাত্রদের সকল দাবী দাওয়া সরকার মেনে নিয়ে উচ্চ আদালতের রায় এব সরকারি গ্যাজেট করেছে। তারপরও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএপি-জামাত তারা এদেশের মানুষের সম্পদ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধংস এবং শান্তি বিনষ্ট, এগুলো তারা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে।
আমরা শুনতে পারছি বিএনপি জামাত সাধারন শিক্ষার্থীদের ঢাল বানিয়ে আরো অরাজকতার পায়তারা করছে। এরই প্রতিবাদে শান্তিপ্রিয় জনতা আজকে আমরা টাউনহলের সামনে সমবেত হয়েছি। আমরা চাই এই সমাজে আবারো শান্তি প্রতিষ্ঠিত হউক । দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক এটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশে যারা নাশকতার চেষ্টা করবে তাদেরকে রাজনৈতিক ভাবে আমরা মাঠে থেকে প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুুত রয়েছি।
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ অন্যান্যরা। সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি এবি ছিদ্দিক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন আরিফ, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শাহীনুর রহমান, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ আল আমিন, মহানগর ছাত্র লীগের আহবায়ক নওশেল আহমেদ অনি, যুগ্ন আহবায়ক তাফসির আহমেদ রাহাত, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম রায়হান, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা সভাপতি শিবলী সাদিক খানসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন ।
এছাড়াও দলীয় শিববাড়ী আওয়ামীলীগ কার্যলয় থেকে সদর আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত’র নেতৃত্বে নগরে একটি শান্তি মিছিল বের হয়। বিকালে আন্দোলনকারী বেশ কয়েকজন নগরের গাংঙ্গিনারপাড় ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে সমবেত হলে সদর সার্কেল এএসপি শাহীনুর ইসলাম ফকির, কোতোয়ালী থানার ইনচার্জ মাইনউদ্দিন, তদন্ত ওসি আনোয়ার হোসেন, ১ নং ফাঁড়ি ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম সহ বিজিবি, এপিবিএন ফোর্সের নিরাপত্তা জোড়দার করায় আন্দোলনের সমন্বয়কারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মোরশেদ সরকার অবস্থান করতে পারেনি।