চট্রগ্রামে অবৈধ দখলদারের মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপে প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার নুরুল হকের পরিবার।
চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে বি ব্লকে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় কাজী নুরুল হক পরিবার নিশংস হামলার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন।
হালিশহর বি ব্লক ২ নং রোডের বাসিন্দা কাজী নুরুল হক জানান, বি ব্লকের চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী জরিনা এবং তাঁর ছেলে রুবেলের সহযোগীরা কাজী নুরুল হকের বাসার পাশে অবৈধ ভাবে বস্তি তুলে সেখানে দিনের পর দিন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি তাদের যায়গা ছেড়ে দিতে বললে তারা কর্ণপাত করেনি গত ৩,১০,২৪ ইং তারিখে আমি পুনরায় তাদের জায়গা ছাড়তে বললে জরিনা ও তার ছেলে রুবেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চাপাতি, রামদা, লাঠিশোটা নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবার এর উপর নিসংস হামলা করে এবং বাসায় ঢুকে লুটপাট চালায়। এতে আমার ভগ্নিপতি, বড় ভাইসহ পরিবারের লোকজন আহত হয়।
কাজী নুরুল বলেন এই জরিনা বিগত দিনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার সাথে জরিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বি ব্লকে খালপাড়ে সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে বসতবাড়ি গড়ে তোলে এবং ওই বসতবাড়িতে নিয়মিত অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতো। জরিনা ও তার ছেলে রুবেল এর ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে পারতো না।
এই অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে জরিনা ও তার পরিবারে ৩ সদস্যকে ২০১৬ সালে হালিশহর থানায় অশ্লীল ছবি ভিডিও করে প্রতারণা’র মামলায় আটক করা হয়।
কাজী নুরুল হক আরো বলেন থানায় মামলা করবার পর আসামিরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি সোহাগ, খোরশেদ, সোনিয়া তাদের ভাড়াটিয়া। তারা অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।
হালিশহর থানার ওসি (তদন্ত) মুজাহিদ মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কাজী নুরুল হক ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।