নওগাঁ পতিশহর আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষনা ইনস্টিটিউটেশনের বেহাল অবস্থা দেখার কেহ নাই
নওগাঁ আত্রাই উপজেলায় পতিশহর আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রায় ৬,১০ একর জমির উপর, ৩/৩/২০১৮ সালে ভিত্তি স্হাপন করেন উপচার্য প্রোঃডঃ এম আব্দুস সোবহান (ভিসি)রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
নওগাঁ জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৩ কিঃমিঃ দূরে বিশ্ব কবি গুরু রাবিন্দ্রনাথের উপর গবেষণার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ইনস্টিটিউট স্হাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোঃডঃআব্দুস সোবহান। সাবেক আওয়ামী সরকার এই প্রতিষ্টানের জন্য ১৮ বিঘার উপর জমি একোয়ার করেন,এবং ১১ তলা ভিত দিয়ে একটি বহুতল ভবনের ভিত্তি স্হাপন করেন, একটি তিলতলা ভবন,ক্যান্টিন, আন্ডার গ্রাউন্ড গাড়ি পার্কিং গ্যারেজ, গেইট সংলগ্ন লাইব্রেরী সহ বিভিন্ন স্হাপনা গড়ে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমান ৬ জন মহিলা এবং ২০ জন বিভিন্ন পদবীর মোট ২৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশেই প্রায় ৩০ একর সরকারি খাস পতিত জমি রয়েছে তা এলাকার বিভিন্ন মানুষ নামে বেনামে দখলে রেখেছে। এখানে পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপন করার মত প্রচুর জায়গা রয়েছে। এলাকার সাধারণত মানুষের দ্বাবি শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা শাখা,রবিন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট এখানে বিশ্ববিদ্যালয় অবকাঠামো গড়ে তোলার মত অনেক জায়গা রয়েছে। বিশ্ব কবি গুরু রাবিন্দ্রনাথ ঠাকুর যে নদী কে নিয়ে অনেক কবিতা রচনা করেছিলেন সেই নাগর নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে, আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট।
প্রায় ০৭ বৎসর গত হতে চলেছে কিন্তু এই ২৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কোন বেতন ভাতাদি হয় নাই। তারা আজ দীর্ঘ দিন থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। উক্ত প্রতিষ্টানের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোঃসাইদুর রহমান, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার ফাহমিদ রেজুয়ান রাব্বি ও পরিছন্ন কর্মি মোছাঃনুরনাহার তাদের বক্তব্য শুনে বুঝা যায় বা মনে হয়, দিনরাত তারা পরিশ্রম করে এতবড় একটা প্রতিষ্টানের নিরাপত্তা সহ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা তাদের জন্য বড় কষ্ট দায়ক।আজ বিগত ৭ বৎসর রক্ষনা বেক্ষন সহ সব দেখা শুনা করছে ও নিয়মিত অফিস পরিচালনা করে, দূঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত তারা সরকারি বেতন ভাতার মূখ দেখতে পেল না।এভাবে কোন আশায় আর কতদিন চলতে পারবে?সরকারের কোন বরাদ্দ নাই যা দিয়ে এতবড় প্রতিষ্টান রক্ষনা বেক্ষন করবে।পতিশহরে এত বড় আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে বলে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন,তাদের মধ্যে প্রবীন সাবেক কয়েক বারের চেয়ারম্যান, এস এম ফারুক বখ্ত, এদের মধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করছেন। চেয়ারম্যান ফারুক বখ্ত কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান,তার নিজ অর্থায়নে, গেইট সংলগ্ন লাইব্রেরী ও প্রধান ফটক রং সহ বিভিন্ন ফার্নিসার দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করছি কারণ দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মি ও পর্যটক প্রায় এখানে পরিদর্শনে আসেন।আমি তাদের সুন্দর একটা বসার ব্যাবস্হা ও মেহমানদারি করার চেষ্টা করি।আমি একজন সামাজিক মানুষ, দেশ বিদেশের মানুষের চিন্তা করে আমি এগুলো করছি।
অত্র প্রতিষ্টানের পরিচালক, প্রোঃডঃ মতিউর রহমান কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রায় ১০০, জন মোট জনবলের প্রয়জন।দীর্ঘ ৭ বৎসর অতিবাহিত হতে চলছে ২৬ জনের কোন বেতন ভাতাদি হয় নাই, বাকি লোকজন কি ভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই প্রতিষ্টান থেকে প্রায় ২০০ শত বহি প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে ২ টা আন্তর্জাতিক জার্নাল,১ টা রবিন্দ্র জার্নাল যার প্রকাশিত সংখ্যা -৮২, অন্যটি দ্রোহী জার্নাল, যার প্রকাশিত সংখ্যা – ৩৭, অথচ এখানে কোন প্রিন্টিং প্রেস নাই , যা আশু জরুরি। এখানে আরও বেশ কিছু সামগ্রী সহ কিছু অবকাঠামো বাকি রয়েছে তার মধ্যে ক্রীড়া কমপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, আন্তর্জাতিক মানের ডরমিটরি এবং বিশ্ব মানের একটা লাইব্রেরী আর্কাইভস অতিব জরুরি। এলাকার সাধারণত মানুষের দ্বাবি সরকারের কাছে যতদ্রুত সম্ভব আমাদের উত্তর বঙ্গের অহংকার আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সকল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন