গোয়াইনঘাটে শ্যাম কালা ও রয়েলের নেতৃত্বে চলছে সীমান্তে চোরাচালান ব্যবসা
প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সাথে চলছে লাইম্যান শ্যাম কালার বেপরোয়া চাঁদাবাজির মহোৎসব। যার ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে-চিনি , চা পাতা,পান, সুপারি, কসমেটিক ,নাসির বিড়ি,কিট সহ,,ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের মাদক, ফেনসিডিল, ইয়াবা,মদ,গাঁজা- তবে অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকায় রয়েছে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার নির্ধারিত সীমান্ত প্রতাপপুর লামাপুঞ্জি, নশকিয়া পুঞ্জি, পুরাতন সংগ্ৰাম পুঞ্জি, লন্ডনি বাজার, কাটারিখাল,পান্তুমাই,মাতুরতল বাজারে ও রাধানগর বাজার এলাকায় এখন নৌপথে নৌকা বুঝাই করে নিরাপদে গোয়াইনঘাট দিয়ে হরিপুর ও সিলেট শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয় ঔসমস্ত চোরাচালানের মাল। এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সব কয়টি সীমান্তে পুলিশের হয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন শ্যাম কালা। চোরাই পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে কয়েক কোটি টাকার মদ, গাঁজা, ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক জাতীয় অবৈধ পণ্য। স্থানীয় সুত্রে সংবাদকর্মীরা অনুসন্ধান করে জানা যায়, এমন অদৃশ্য শক্তির ফলে চোরাকারবারীদের সেল্টার দিচ্ছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের এএসআই রয়েল, প্রশাসনের নামে চাঁদা আদায় করছে লাইনম্যান শ্যাম কালা প্রশাসনের নাকের ডগায় এবং চোরাকারবারিদের দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে প্রতি রাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
প্রতি রাতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের নামে কয়েক কোটি টাকা চাঁদা নিয়ে বৈধতা দিয়ে আসছে এএসআই রয়েল, চোরাই পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দেয় এএসআই রয়েল। তবে এসব অদৃশ্য কারণে থানা পুলিশের নজরে না আসায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গোয়াইনঘাট সীমান্তের চোরাচালান সিন্ডিকেট বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট এর সহকারী পুলিশ সুপার সাহিদুর রহমান’এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি বর্তমানে কোম্পানিগন্জ আছি আপনারা গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানুন।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার (এএসআই) রয়েলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করে বলেন ভাই আপনারা এসব বিষয় নিয়ে নিউজ করে লাভ নেই আপনাদেরকে শ্যাম কালার সাথে বসে আলাপ করার সুযোগ করে দেই,। এএসআই রয়েলের এমন বক্তব্য প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
সচেতন মহলের লোকেরা প্রশাসনের এমন বক্তব্যে জানান যে, চোরাচালানের সাথে উনিই জড়িত বলেই সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য এমন অফার করেছেন , সচেতন মহলের দাবি প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চোরাচালানের সাথে যারা জড়িত রয়েছে, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। এলাকার সচেতন মহলের দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন