ময়মনসিংহে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পৃথক অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী ও চোরসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় ৮৬ গ্রাম গ্রাম হেরোইন ৩ কেজি গাঁজা, ১৫ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ডিবির ওসি ফারুক হোসেন জানান, আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এর নির্দেশে ডিবি পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে রবিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর মাঝে এসআই আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে নগরীর আটানি পুকুরপাড় একটি মোটর সাইকেলের ওয়ার্কশপ দোকানের থেকে ২২ গ্রাম হেরোইনসহ মাদকাসক্ত ছিনতাইতারী মোঃ শুক্কুর আলী, মোঃ অহিদ, মোঃ সানি, মোঃ পাপ্পু মিয়া, নূর মোহাম্মদ ফয়সাল, মোঃ খাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকসহ ছিনতাই এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এসআই শেখ গোলাম মোস্তফা রুবেল সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে এস কে হাসপাতালের সামনে থেকে ৩২ গ্রাম হেরোইনসহ মাদকাসক্ত ছিনতাইতারী মোঃ শহিদ, মোঃ রাজু খান, সাব্বির হোসেন ও মোঃ মোশাররফ হোসেন রামিমকে গ্রেফতার করে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকসহ শহর এলাকায় ছিনতাই এর সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
এসআই মোঃ সোহরাব আলী সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে পাটগুদাম ব্রীজ জয়বাংলা চত্তর সংলগ্ন থেকে ৩২ গ্রাম হেরোইনসহ মাদকাসক্ত ছিনতাইতারী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রিফাত, মোঃ বিল্পব, মোঃ আশিক ও মোঃ রাজিব মিয়াকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকসহ শহর এলাকায় ছিনতাই এর সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত।
এসআই মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ত্রিশালের ছলিমপুর ৩ কেজি গাঁজাসহ আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সোহাগ হোসেন ওরফে শাকিব ও মোছাঃ মমেনা খাতুনকে গ্রেফতার করে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক কারবারি এর সাথে জড়িত। সোহাগ সাত মামলার আসামী।
এসআই আল্লামা ইকবাল কবির সম্রাট সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে নগরীর কেওয়াটখালী বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১৫টি মোবাইল সেটসহ চোর চক্রের সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌসিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ মোবাইলসেট চুরি কারবারির সাথে জড়িত। এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত। এ অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে
শুক্রবার রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা পুলিশ। আশুলিয়া থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার এসপি আহম্মদ মুঈদ।
এসপি বলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে অবৈধ জমি দখল, তদ্বির বানিজ্য, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলো। জ্যোতি গুলশান ২ নম্বরের ৫০ নাম্বার রোডের ৮ নাম্বার বাড়ির টপ ফ্লোড়ে ছিলো মাদক সেবন তদ্বির বানিজ্যের আস্তানা। যেখানে একাধিক মাদক ব্যবসায়ির যাতায়াত ছিলো। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। বিস্তারিত আসছে।
ছবিতে- গাউছ মহীউদ্দিনকে এমডি পদ থেকে অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে পিজিসিবি প্রধান কার্যালয়ে
আওয়ামীলীগ সরকারের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ খ্যাত বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর দোসর, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর এমডি একেএম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ এখনও স্বদাপটে বহাল রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি, দলবাজ এই কর্মকর্তা বহু অপকর্মের মূলহোতা।
অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজ করে পিজিসিবির এমডি পদটি বাগিয়ে নেন তিনি। ওই প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ ফাইল নোটের পরিপ্রেক্ষিতেই এমডি পদে আসীন হওয়ার প্রমাণপত্রও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অপকর্ম করে নিয়োগ পাওয়াসহ কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে স্বপদে বহাল থাকা এমডি গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী বিপুর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বিগত সময়ে কোনো অভিযোগই পাত্তা পায়নি। সবশেষে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ভুক্তভোগিরা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেও সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহীউদ্দিন রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপি সমর্থক বনে গেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনকারীদের হুমকি ধমকি দিয়ে চলছেন। এ নিয়ে পিজিসিবিতে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে পিজিসিবি প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে গাউছ মহীউদ্দিনকে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শেষে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বিদ্যুত উপদেষ্টাসহ সচিবের কাছেও। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের আরো অভিযোগ আছে, আমরা শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এরপরও অভিযুক্ত এমডি কাকে ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল রয়েছেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
পাওয়ার গ্রিড পরিচালনা পর্ষদ কতৃক গৃহীত নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী হন আবদুর রশিদ খান। তাকেই সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও দলীয় বিবেচনায় গাউছ মহীউদ্দিনকে নিয়োগদানে বাধ্য করেন প্রতিমন্ত্রী বিপু। যা ছিল সম্পর্ণ বেআইনী এবং কোম্পানীর এমওইউর পরিপন্থী।
জানা গেছে, ফাইলনোটে (৫০ নম্বর) লেখা ছিল, এমতাবস্থায় পিজিসিবি নিয়োগ কমিটির ১৫/০৪/২০২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী জনাব আবদুর রশিদ খানকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের তারিখ থেকে ০১ (এক) বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে। পরবর্তীতে তার কর্মমূল্যায়ন ও বোর্ডের সুপারিশের আলোকে চুক্তিভিত্তিক চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অথচ পরবর্তীতে ২৮ মে ২০২৩ তারিখের ৫২ নম্বর ফাইলনোটে প্রতিমন্ত্রী সবুজ কালিতে লিখেন, ‘২ নং ক্রমিকের জনাব এ, কে, এম, গাউছ মহীউদ্দিন আহম্মেদকে নিয়োগ প্রদান করা যেতে পারে (পরিপত্র জারি নং ৩৮৭)।‘
নিয়ম ভঙ্গ করে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন ছাড়াও বিশেষ উপহার পেয়েছিলেন বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তার মালিকানায় কেরানীগঞ্জে গড়ে ওঠা হাউজিংয়ের উপর থেকে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন অপসারণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেন নতুন নিয়োগ পাওয়া এমডি গাউছ মহীউদ্দিন। প্রধান সঞ্চালন লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড করার লক্ষ্যে পাওয়ার গ্রিডের সংশ্লিষ্ট কারিগরী টিমের যৌক্তিক বাধাকে উপেক্ষা করে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা কমিশন হতে পিডিপিপি অনুমোদনও করিয়ে নেয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা অবিলম্বে বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয়ের প্রকল্পটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছে।
এদিকে এমডি গাউছ মহীউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও বেশুমার লুটপাটের অসংখ্য অভিযোগ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। পাওয়ার গ্রিডের সব সঞ্চালন লাইনে কনভেনশনাল কন্ডাক্টর ব্যবহারের পরিবর্তে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যের অ্যালুমিনিয়াম কন্ডাক্টর কম্পোজিট কোর ব্যবহার করার মাধ্যমে গত আট বছরে দেশের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করিয়েছেন তিনি। কোনো রকম কারিগরি গবেষণা ব্যতিরেকে বোর্ডসভায় বিবিধ আলোচনায় উত্থাপন করে এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিনিময়ে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা নিজের পকেটে ভরেছেন গাউছ মহীউদ্দিন।
এই দলবাজ এমডি‘র নির্দেশেই সার্ভিস রুলকে চরমভাবে অমান্য করে ছাত্রলীগের কর্মীদের ভুয়া অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট তৈরি করে তাদের চাটুকার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া এবং দলীয় কর্মী বিবেচনায় একের পর এক পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এমডির অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তিনি অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূতভাবে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি হতে ছাঁটাই করে দিয়েছেন, হয়রানির মুখে ফেলেছেন কয়েকশ‘ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
পিজিসিবির প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলে বলছেন, একজন দুর্নীতিবাজ লুটেরা কর্মকর্তা পিজিসিবির এমডি পদে এখনো কিভাবে বহাল থাকছেন? তার খুটির জোর কোথায়? আওয়ামীলীগ সরকারের দুর্নীতি লুটপাটের দোসর, দলবাজ এমডি গাউছ মহীউদ্দিনকে ঘিরে পিজিসিবিতে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে পিজিসিবিতে বিশৃঙ্খলাসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা কর্মচারীরা অবিলম্বে দলবাজ লুটেরা গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ মুক্ত পিজিসিবি পূণর্গঠনের জোর দাবি জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে এ কে এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য নেয়ার জন্য বারবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এ কেমন চাটুকারিতার নজির সৃষ্টি করলেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের দু:শাসনের সময়ে ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে যিনি অসংখ্য ছাত্র জনতার ওপর গুলি লাঠিচার্জ সাউন্ড গ্রেনেড বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার বানিজ্য করেছেন, সাবেক এমপি নাজমুল হাসান পাপন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দূর্নীতিবাজ নেতা সেন্টু, শাখাওয়াত আলমগীরদের আস্থাভাজন হয়ে বীরদর্পে গ্রেফতার বানিজ্য, চাঁদাবাজি করেছেন। ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগীতা করেছেন।
সেই ওসি ও তার কয়েকজন দারোগা এখন এ স্বাধীন দূর্নীতি মুক্ত ঘোষণার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সময়ে রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে নেতাকে নিজের চেয়ারে বসিয়ে কার বশ্যতা স্বীকার করলেন একটি রাজনৈতিক দলের নাকি অন্তর্বতীকালীন সরকারের এমন প্রশ্নের উদ্রেক সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি ভৈরব কুলিয়ারচরের বিএনপি নেতা শরীফুল আলমকে দেখা যাচ্ছে থানার ওসির চেয়ারে বসে আসামি গ্রেপ্তারের তালিকা দিচ্ছেন আর ওসি সফিকুল ইসলাম জি হুজুর ভাব নিয়ে নিজ চেয়ার ছেড়ে পাশে বসে হুকুম তামিল করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন সংবাদ ভাইরাল হলে ব্যপকভাবে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এক ফ্যাসিবাদী উৎখাতের পর আরেক ফ্যাসিবাদ কায়েমি স্বার্থে পুলিশ ব্যবহৃত হলে ছাত্র জনতার রক্ত ঝরানো গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত সংস্কার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করছেন ভৈরবের ছাত্র জনতার সচেতন মহল।
ভৈরবে যে পুলিশের নির্দেশে অসহায় ছাত্র জনতা নির্মম ভাবে নিহত আহত আর নির্যাতনের শিকার হতে হলো আজ সেই ওসি নতুন রুপে বহাল তবিয়তে বসে থাকার অপচেষ্টায় নিজ চেয়ার ছেড়ে নেতাকে বসতে দিলেন।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশিং ভূমিকায় বিতর্কীত ওসি সফিকুল ইসলাম জনশৃংঙ্খলা রক্ষার নামে
ভৈরব থানা এলাকায় ছাত্র জনতা নিরীহ মানুষকে অতীতের ন্যায় হয়রানি করবে বলে আশংকা করছে সাধারণ জনগণ। আইন শৃঙ্খলার স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষায় ওসি সফিকুল ইসলামের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন ভৈরববাসী।
আপনার মতামত লিখুন