কক্সবাজারে প্রচলিত প্রতারণা
কক্সবাজারে প্রচলিত প্রতারণা
এক ও অভিন্ন প্রতারণা বছরের পর বছর বাধাহীন চলার কারণে তা যেন বৈধতা পেয়ে গেছে কক্সবাজারে। যেমন হোটেল রেস্তোরাঁয় পর্যটক হয়রানি, সব ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় মূল্য হাতিয়ে নেওয়া, পদে পদে প্রতারণার ফাঁদসহ আরো কত শত অপকর্ম এখানে নিয়তির বিধানে পরিণত হয়ে পড়েছে। কোনো প্রতিকার নাই।তেমনি স্থায়িত্ব পেয়েছে বার্মিজ পণ্য ও নেশাজাত দ্রব্যাদির প্রতারণাও।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজারে স্থানীয় ভাবে তৈরীকৃত আচার, বাদামসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বার্মিজ পণ্য বলে বিক্রি হচ্ছে। পর্যটকদের ধোকা দিতে বার্মিজ লিখা সম্বলিত লুঙ্গির প্যাকেটে করে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে সৈকত পাড়ের বিভিন্ন দোকান ও শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায়। কক্সবাজারের নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এসব আচার উৎপাদনের পর সর্বোচ্চ ৩/৪ দিন মেয়াদ থাকে।
শহরের বড়বাজার এলাকার এ-বি-সি রোডের কয়েকটি আতর বা পারফিউমের দোকান থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক, রঙ, প্যাকেট ও লেভেল কিনে নিজস্ব মশলাপাতি মিশিয়ে খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব আচার তৈরী করে। শহরের রুমালিয়ার ছড়া, টেকপাড়া ও ইসলামাবাদ এলাকায় এসব নকল কারখানার অবস্থান দেখা গেছে।
এখন নকল কারখানার পঙ্গ সামগ্রী আর নানা প্রতারণায় হাতানো অর্থবিত্তও কি কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের সমৃদ্ধতায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে না তো? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন।
আপনার মতামত লিখুন