সাংবাদিক মিজানের উপর হামলাকারী আওরঙ্গজেব ফ্রিডম পার্টির ডাকুয়া ক্যাডার থেকে আ’লীগের হাইব্রিড নেতা
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ফ্রিডম পার্টির ডাকুয়া ক্যাডার থেকে আওয়ামীলীগের হাইব্রিড নেতা হওয়া আওরঙ্গজেব মাতবরের নির্দেশেই সাংবাদিক মিজানের উপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে।
দখলবাজি, হামলা, মারামারিতে সিদ্ধহস্ত আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এর আগে তার নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের উপরেও নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে।উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্তৃত্ব কব্জা করার পর থেকেই তিনি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেন। তার হাতে দলীয় নেতা কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। এর বিপরীতে ফ্রিডম পার্টির সাবেক ক্যাডার, জামাত শিবির ও বিএনপি নেতারা দলে দলে পুনর্বাসিত হয়েছে। এমনকি সাগরের ভয়ংকর জলদস্যুরাও ঠাঁই পেয়েছে আওরঙ্গজেবের বুকে।
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ এলাকায় লবণের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে আওরঙ্গজেব মাতবর গং গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ১০ জন চাষি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধরা হলেন, রহিম উল্লাহ (৫৮), রাশেদুল ইসলাম (৩৫), মুহাম্মদ হোসেন (৪০), তেতু মিয়া (৫৫), আনোয়ার হোসেন (৪০), জাফর আলম (৬০), জালাল আহম (৬৩), বেলাল হোসেন (২৮), ইকবাল হোসেন (৩২) ও আমির হামজা (৩৬)।
ফ্রিডম পার্টি থেকে আ’লীগের হাইব্রিড নেতা
ইতিপূর্বে কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের বিরুদ্ধে ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে সংশ্নিষ্টতার অভিযোগ তুলে তাঁকে বহিস্কারের দাবি জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ দাবি জানান।
আওরঙ্গজেব সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর এ পর্যন্ত উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ৭০ নেতাকর্মীকে মারধর করেছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার অন্তত ৫০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আওরঙ্গজেব মাতবর ১৯৮৭ সালে কুতুবদিয়া উপজেলা ফ্রিডম পার্টির সভাপতি ছিলেন। কুতুবদিয়ায় এক সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন। পরে ২০১৫ সালে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ দখল করেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রমিজ আহমদ বলেন, তাঁর হাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩২ বছরের সভাপতি প্রয়াত ছৈয়দ আহমদ কুতুবী, সাবেক সভাপতি আহমদ উল্লাহ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ্ছফা বিকম, লেইমশীখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ অন্তত ৭০ নেতাকর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফিউল আলম কুতুবী বলেন, ‘আওরঙ্গজেব মাতবর জামায়াত ও রাজাকার পরিবারের সন্তান। তাঁর এক ভাই সেলিম চট্টগ্রামের আলোচিত আট মার্ডারের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। অন্য দুই ভাই শিবির নেতা। আওরঙ্গজেব ফ্রিডম পার্টির সভাপতি হয়েও কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।’ তবে ওই সময় এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওরঙ্গজেব মাতবর বলেন, ‘আমি ১৯৯৪ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্বও পালন করেছি।
আপনার মতামত লিখুন