গাজীপুর সদর উপজেলায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেফতার
গাজীপুর সদর উপজেলায় পিতার বিরুদ্ধে কিশোরী (১৭) মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত পিতা সাহেব আলী (৪১) কে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ভাবানীপুর ফরিদ মার্কেট এলাকার এই ঘটনা ঘটে। সাহেব আলী একই ইউনিয়নের ভৌড়াঘাটা গ্রামের মন্নারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাজায়, ৮ বছর আগে কিশোরীর মায়ের সাথে তার বাবার ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর ওই কিশোরীর মায়ের অন্য আরেকজনের সাথে বিয়ে হয়। পরে ওই কিশোরী
ভাবানীপুর ফরিদ মার্কেটের পাশে তার (বিদেশ প্রবাসী) ফুফু মনোয়ারার বাড়িতে তার দাদীর সাথে থাকতেন। কিশোরীর পিতা একই ইউনিয়নের ভৌড়াঘাটা এলাকায় থাকেন। মাঝেমধ্যে কিশোরীর বাবা তার ফুফুর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার জন্য আসতেন।
গত বুধবার সকালে কিশোরীর ফুফুর বাড়িতে তার পিতা খাবারের জন্য আসেন। এ সময় তার মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় কিশোরী চিৎকার করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তার পিতা। পরে ওই কিশোরী ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
গাজীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিরাজুল ইসলাম জানান, নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা সাহেব আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই কিশোরীর পিতা এর আগেও তার মেয়েকে একবার ধর্ষণ করেছে বলে পরিবারের লোকজন জানান। বিষয়টি সম্মানের ভয়ে পরিবারের লোকজন ধামাচাপা দিয়ে রাখে। এছাড়াও এর আগে একই বাড়ির ভাড়াটিয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে জেল খেটে আসেন ওই কিশোরীর পিতা। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে তদন্ত চলছে। ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন